চালের দাম বাড়ছে কেন?
আমদানির করা চালের ওপর ২৮ শতাংশ শুল্ক পুনর্বহালের অজুহাতে সব ধরনের চালের দাম এক থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন মিল মালিকরা।
পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দেশে উৎপাদিত চালের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে, তাই দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই। কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানো মিল মালিকদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ক্যাব।
বছরে চালের চাহিদা গড়ে সাড়ে তিন কোটি টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার বোরো ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় দুই কোটি টন। আমনের উৎপাদনও প্রায় দেড় কোটি টন। আর চলতি মাস পর্যন্ত এক বছরে আমদানি করা হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টন চাল। অর্থাৎ, দেশে চালের মজুদ প্রায় চার কোটি টন, যা চাহিদার চেয়ে বেশি। তারপরও চালের দাম বাড়ছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : দুই ড্রিমলাইনার বিমান কিনছে সরকার
--------------------------------------------------------
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট, স্বর্ণাসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত টাকা।
পাইকারি আড়ৎদাররা বলছেন, বাজারে দেশি চালের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। কেবল আমদানি করা চালের উপর ২৮ শতাংশ শুল্ক আরোপের সুযোগ নিচ্ছেন কিছু অসৎ মিল মালিক।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব এর সভাপতি গোলাম রহমান মনে করেন, কৃষককে সুবিধা দিয়ে চাল উৎপাদন ও সংগ্রহে সরকার সরাসরি তদারকি করলে বাজারে শৃঙ্খলা ফিরবে।
চালের দাম নিয়ে কারসাজিকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করারও পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন :
এসআর
মন্তব্য করুন