গত বছর ১০ লাখ শ্রমিক বিদেশ পাঠানো হয়েছে

গত বছর বিদেশে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে। এটি দেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। জানালেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি এসসি।

আজ(সোমবার) সংসদে সরকারি দলের নুরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৩১জন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশেই বাংলাদেশি কর্মী যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫টি দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে।

নুরুল ইসলাম বলেন, এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রধান শ্রম বাজার সৌদি আরবে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৪ জন কর্মী গেছেন। সম্প্রতি চলতি বছরে ১৮ এপ্রিলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে গৃহকর্মের পেশায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

সরকারি দলের আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে জাপানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রেরণের বিষয়ে ২০১৭ সালে মার্চে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই সমঝোতা আলোকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (আইএম-জাপান)-এর সহযোগিতায় জাপান টেকনিক্যাল ইন্টার্ন গমন শুরু হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে দুইটি ব্যাচে ৩১ জন জাপানে গেছেন। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারিতে অধিকহারে কর্মী প্রেরণের বিষয়ে একটি সহযোগিতা স্মারক সই হয়েছে।

তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কর্মী প্রেরণের জন্য মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশ সরকারের জি-টু-জি প্লাস প্রক্রিয়ায় কর্মী প্রেরণের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর আওতায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো অব্যাহত রয়েছে এবং ২০১৭ সালে ৯৯ হাজার ৭৮৭ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় গমন করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে শ্রমিক প্রেরণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ৫২টি শ্রমবাজার গবেষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জেএইচ