• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আমরা ঋণ করে ঘি খাইনি: মতিয়া

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১১ জুন ২০১৮, ১৫:২০

সার্বিকভাবে সম্পূরক বাজেটে যে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে তা যৌক্তিক। আমরা ঋণ করে ঘি খাইনি, মানুষের কল্যাণে তা খরচ করা হয়েছে। বললেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।

তিনি আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন।

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ১১ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে বলে কলকারখানার সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করতে, গত বছর সুনামগঞ্জের হাওড়ে অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে জননিরাপত্তা বিধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ জন্য অতিরিক্ত খরচ মেটাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এবারের সম্পূরক বাজেটে যে পরিবর্তন করা হয়েছে তা খুবই সামান্য। বিভিন্ন বিভাগের জন্য সংসদ সরকারকে যে ক্ষমতা দিয়েছে সেটা যতদুর সম্ভব রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের সম্পূরক বাজেটের একটি ভালো দিক হলো, যদিও বাজেট বাস্তবায়ন যথেষ্ট কম হয়েছে, কিন্ত গত কয়েক বছরে সরকার বৈদেশিক সাহায্যের যে পাহাড় গড়ে তুলেছে, সেই পাহাড়ে এবার কিছুটা ধস নেমেছে। এবার বৈদেশিক সাহায্য বেশ ভালভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে। সরকার সেখান থেকে ৫২ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চেয়েছিল, খরচ করেছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

মন্ত্রী বলেন, ‘সম্পূরক বাজেট যেভাবে পাস করা হয়, তা সংবিধান সম্মত। সংবিধান আমাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে।’

২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সম্পূরক বাজেটে যে পরিবর্তন ও সংযোজন হয়েছে তা বাস্তব সম্মত। বাজেটের যে লক্ষ্য ছিল তা অর্জিত হয়েছে।

ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের লুটপাট হচ্ছে বলে বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে কিছু অনিয়ম হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকার বসে নেই, বেসিক ব্যাংক ও ফারমার্স ব্যাংকের অনিয়মে জড়িত ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাত একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। ইসলামী ব্যাংককে এগ্রেসিভ ঋণ দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে এবং তাদের বলা হয়েছে, ‘আমরা আরেকটি বেসিক ব্যাংক দেখতে চাই না’।

জাতীয় পার্টির সদস্য রওশন আরা মান্নান ও সেলিম উদ্দিন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা
জিয়া ছিলেন মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সংসদ এলাকায় ড্রোন, মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপি পুত্র
X
Fresh