• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রেমিটেন্স বেড়েছে ২২ শতাংশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

  ০৩ মে ২০১৮, ১৬:৫৯
ছবি সংগৃহীত

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ইতিবাচক ধারার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গেলো ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমার পর আবারও টানা বাড়ছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এপ্রিলে ১৩২ কোটি ৭১ লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। যা ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থ বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো বেড়ে যাওয়ার কারণে এই ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় এক হাজার ২০৯ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি।

এপ্রিলে যে অর্থ এসেছে, তার মধ্যে সরকারের ৬ ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাকাবের মাধ্যমে এসেছে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ ডলার। এছাড়া বেসরকারি ৩৯টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। আর বিদেশি ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বিশ্ববাজারে এক বছরে চিনির দাম কমেছে ২৪ শতাংশ
--------------------------------------------------------

ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এপ্রিলে ব্যাংকটির মাধ্যমে আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ ২৬ কোটি ৬১ লাখ ডলার।

এর পরে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ কোটি ও সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, গত বছরে একসময় রেমিটেন্স প্রবাহে খরা ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই নেতিবাচক ধারা কেটে গেছে। আশা করছি অর্থবছর শেষে ভালো একটা ফলাফল পাবো।

তিনি বলেন, হুন্ডি প্রতিরোধে অবৈধ মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বর্তমানে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে, এর প্রভাবেও রেমিটেন্স বাড়ছে। ডলারের চাহিদা মেটাতে ব্যাংক তার নিজের স্বার্থেই ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের রেমিটেন্স আনার চেষ্টা করছে। সে কারণেও রেমিটেন্স বাড়বে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৮৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। একক মাসের হিসেবে এটা ছিল সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি রেমিটেন্স নিয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারকদের কপালে ভাঁজ পড়তে দেখা যায়। রেমিটেন্স বাড়াতে মাশুল না নেয়াসহ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নানা ঘোষণাও দেন।

আরও পড়ুন :

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নির্বাচনে হেরে যা বললেন নিপুণ
মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা
একাধিক পদে চা বোর্ডে নিয়োগ
মিশা-ডিপজলের কাছে কত ভোটে হারলেন কলি-নিপুণ
X
Fresh