ঝড়ের মধ্যেও ৫০০ কোটি ডলার তুলে নিল ফেসবুক
প্রায় পাঁচ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্যফাঁস নিয়ে বড় কেলেঙ্কারির মধ্যে এখন ফেসবুক। তার প্রভাবে গেলো মাসে শেয়ারবাজারে প্রায় কাবু অবস্থান ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। তবু এই ঝড়ের মধ্যে দমেনি প্রতিষ্ঠানটি। দুঃসময়েও সুখবরই দিচ্ছে জাকারবার্গের এই মিডিয়া।
ফেসবুক বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের মুনাফা বেড়েছে। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার; যা গতবছরের একই সময়ে ছিল ৪২৬ কোটি ডলার। সে হিসেবে মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৭৪ কোটি ডলার।
প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ফেসবুক তার ঊর্ধ্বগতি ধরে রেখেছে। ২২০ কোটি মানুষ এখন প্রতি মাসে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। আর দৈনিক ব্যবহার করছেন ১৪০ কোটিরও বেশি মানুষ।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : পোশাক কারখানায় কার্যকর ট্রেড ইউনিয়ন নেই: টিআইবি
--------------------------------------------------------
গেলো মাসে ফেসুকের বিরুদ্ধে গ্রাহকের তথ্য চুরির বড় অভিযোগ উঠে। বলা হয়, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল ফেসবুক। ওই অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। সেই তথ্য পরে ব্যবহার করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের কাজে।
অর্থ বিশ্লেষকদের অনেকেই ওই সময় বলে ফেলেছিলেন ফেসবুকের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব হারানোর সময় এসেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফেসবুকের শেয়ারের দামে ধস নামে। এই কেলেঙ্কারির জেরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর হারায় প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার।
তবে এই কেলেঙ্কারির অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন জাকারবার্গ। তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া কাউকে তথ্য দেয়নি।
গতকাল বুধবার তিনি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় বলেন, তাদের আয়ে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। বরং তাদের গ্রাহক উত্তরোত্তর বেড়েছে।
প্রথম প্রান্তিকের এই ইতিবাচক খবরের পর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ঘুরে দাঁড়ায়। শুধু গতকালই দর বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন :
- নাগরিকত্ব না থাকলেও তারেককে দেশে ফেরানো যাবে : আইনমন্ত্রী
- সেনা মোতায়েন হবে না, কারখানা বন্ধ থাকবে: ইসি
এসআর/এমকে
মন্তব্য করুন