• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বছরে কত হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছেন বিদেশিরা?

শাহীনুর রহমান

  ১৮ এপ্রিল ২০১৮, ২০:০০

বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিরা চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বৈধভাবে ১ হাজার ৭৬ কোটি ১২ লাখ ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন। যা এর আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। রেমিটেন্সের এই সাম্প্রতিক খবর বাংলাদেশ ব্যাংকের। যার হালনাগাদ তথ্য প্রায় প্রতি মাসেই গণমাধ্যমে আসে।

তবে দিন দিন এই রেমিটেন্স বাড়লেও অবাক করার বিষয় হচ্ছে, প্রতিবছর শ্রম বাবদ বাংলাদেশ থেকে মোটা অংকের টাকা বিদেশিরা নিয়ে যাচ্ছেন। শুধু এক বছরেই বাংলাদেশ থেকে ২০১ কোটি ডলার আয় নিজেদের দেশে পাঠিয়েছেন বিদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা (এক ডলার সমান ৮২ দশমিক ৯৮ টাকা হিসাবে)।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : দেশে মোবাইলফোন সেট উৎপাদনে সুবিধা দেবে সরকার
--------------------------------------------------------

এটি দেশে আসা প্রবাসী আয়ের (রেমিটেন্স) প্রায় পাঁচ ভাগের একভাগ।

বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী আয় বাইরে যাওয়ার এ হিসাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার। তারা বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদদের সর্বশেষ প্রাক্কলন ধরে গবেষণাটি করেছে।

গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশিরা এই অর্থ নিয়ে গেছেন। যেসব দেশে এ অর্থ গেছে তার মধ্যে রয়েছে চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, নেপাল, থাইল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, মিয়ানমার, ব্রাজিল, লাওস ও কম্বোডিয়া।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে কর্মরত আছেন ৮৫ হাজার ৪৮৬ জন বিদেশি নাগরিক। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে এসব বিদেশি নাগরিক কাজ করেন।

জাতীয় সংসদে গত ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে কর্মরত এই বিদেশিদের অর্ধেকই ভারতীয়। ভারতীয়দের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন এবং চীনা ১৩ হাজার ২৬৮ জন। এরপর রয়েছে জাপান—৪ হাজার ৯৩ জন। এ ছাড়া কোরিয়ার ৪ হাজার ৯৩ জন, মালয়েশিয়ার ৩ হাজার ৩৯৫ জন ও শ্রীলঙ্কার ৩ হাজার ৭৭ জন নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করেন। থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সিঙ্গাপুর ও তুরস্কের নাগরিকেরাও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের একটি বড় এক অংশ এখনও বেকার। দিন দিন এই সংখ্যা বড় হচ্ছে। এখানে সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে কারিগরি জ্ঞানের অভাব। সাধারণ শিক্ষায় পাস করার পরও কারিগরি দিক দিয়ে এগিয়ে না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে বিদেশিদের আনতে হচ্ছে। যার ফলে মোটা অংকের অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, দেশের মোট বেকারের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮০ লাখের মতো। যদিও সরকার বলছে, দেশের বেকারের সংখ্যা মাত্র ২৬ লাখ।

দেশের অন্যতম বড় চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান মাতলুব আহমাদ বলছিলেন, একটা চাকরির জন্য প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার আবেদন চলে আসে। কিন্তু আমরা আমাদের চাহিদামতো কর্মী পাচ্ছি না।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষায় পাস করা ছেলেমেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু যখন আলাদাভাবে পেপার মিলে কারিগরি কাজের জন্য কাউকে খুঁজছি, তখন পাচ্ছি না। আমাদের বিদেশ থেকে তখন লোক আনতে হচ্ছে।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জমান আহমেদ বলেন, বিদেশি পেশাজীবীরা যা করছেন, সে সম্পর্কে দক্ষ হয়ে বাংলাদেশিরাও তা করতে পারেন। সব হয়তো একসঙ্গে হবে না, তবে এদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। এ লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছেও বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন :

এসআর/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২০ এপ্রিল)
মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ : একদিনে বিজিপির আরও ২৪ সদস্য বাংলাদেশে
টাকার হিসাব জানার অধিকার জনগণের আছে: ব্যারিস্টার সুমন
ধর্ম-কর্মে সময় কাটছে চিত্রনায়ক মেহেদির
X
Fresh