• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে সুবিধা দেবে সরকার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৭ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:৪৫
জাপানের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হোন্ডা মোটর করপোরেশন সম্প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে- ফাইল ছবি

দেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় তিন লাখ মোটরসাইকেল বিপণন হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে মোটরসাইকেলের বাজার সম্প্রসারণ হয়েছে বার্ষিক ১৫-২০ শতাংশ হারে। অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার সুযোগ ও চলিষ্ণুতা বৃদ্ধি, তরুণদের আগ্রহ, রেমিট্যান্সের প্রভাব, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সুবাদে মোটরসাইকেলের বার্ষিক বাজার বেড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

গতবছর দেয়া বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএএমএ) তথ্য বলছে, এ বাজারের ৮৭ শতাংশই এখনো বিদেশি কোম্পানিগুলোর দখলে। আর বাকি মাত্র ১৩ শতাংশ বাজার রয়েছে দেশে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ‘ভোক্তাদের কারণে রোজায় দাম বাড়ে’
--------------------------------------------------------

এ অবস্থায় সরকার চায়- আমদানি নয়, দেশেই এ শিল্পের উৎপাদন বাড়ুক।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলছেন, গত কয়েক বছরে দেশে বেশ কয়েকটি গাড়ি সংযোজন শিল্প গড়ে উঠেছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন মোটরসাইকেল সংযোজন করছে। মোটরসাইকেল সংযোজনে পাঁচ বছরের বিশেষ অব্যাহতির সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করা।

স্থানীয়ভাবে কার ও মোটরসাইকেল উৎপাদনে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, দেশে পণ্য উৎপাদন হলে কল-কারখানায় কর্মসংস্থানও বাড়ে। তাই গাড়ি উৎপাদন বা সংযোজন করলে এনবিআর বিশেষ সুবিধা দেবে।

গেলো সপ্তাহে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস (একবার ব্যবহৃত) ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রাকবাজেট আলোচনায় বসে এনবিআর।

ওই সভায় রি-কন্ডিশন কার আমদানিতে শুল্ক কমানোসহ সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। ওই সময় এনবিআর চেয়ারম্যান সবক্ষেত্রে কর হ্রাসের চিন্তা থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে ট্যাক্স রিডাকশন (কর হ্রাস) আশা করবেন না। প্রতি বছর বাজেটের আকার বাড়ছে। গতবারের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি হবে। সেজন্য রাজস্ব আয় ৩০-৪০ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করতে হবে। তবে রাজস্ব আয়ের উৎস সীমিত। তাই ট্যাক্স রিডাকশন দেওয়ার আগে ভাবতে হবে।

রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি ১৬০০ সিসি পর্যন্ত ২০ শতাংশ শুল্কের স্তরটি উঠিয়ে শূন্য থেকে ১৮০০ সিসি পর্যন্ত ১৫ শতাংশ শুল্ক করার দাবি জানায় বারভিডা।

এছাড়া সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি ১৬০১ থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ শুল্ক স্তরটি উঠিয়ে ১৮০১ থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত ৩০ শতাংশ শুল্ক করার দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন :

এসআর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৮ এপ্রিল)
দেশসেরার তালিকায় ৪৩তম গণ বিশ্ববিদ্যালয়
শনিবার ঢাকা আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা
নারী কয়েদির সঙ্গে কারারক্ষীর অনৈতিক সম্পর্ক, অতঃপর...
X
Fresh