কর্ণফুলী টানেল হলে কর্মসংস্থান বাড়বে
যান চলাচলের জন্য চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে হচ্ছে দেশের প্রথম টানেল। সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল নগরীর সঙ্গে যুক্ত করবে দক্ষিণ চট্টগ্রামকে। এছাড়া, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় হবে চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের পাশাপাশি সমৃদ্ধ হবে বন্দরনগরী, খুলে যাবে সংযোগের নতুন দুয়ার-- এমনটি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
সদ্যই কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন চীন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি, টু টাউন’ ধারণা থেকেই কর্ণফুলী নদীর নীচ দিয়ে টানেল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য খরচ ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪শ’ ৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬শ’ ৪০ কোটি টাকা দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। বাকিটা যোগাবে বাংলাদেশ সরকার। টানেল তৈরি কাজ করবে ‘চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড’।
৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার টানেলের একপ্রান্তে থাকছে নগরীর পতেঙ্গার নেভাল এলাকা, অন্যপ্রান্তে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা। এতে গাড়ি চলাচলের জন্য দু’টি টিউব থাকবে। যা নদীর তলদেশের সর্বনিম্ন ১২ মিটার থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ মিটার গভীরে স্থাপন হবে। তৈরি কাজ শেষ হবার কথা ২০২০ সালের মধ্যে।
ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম তথা পুরো দেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে যাবে।
এছাড়া, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৭শ’ ৭৪ একর জমির ওপর তৈরি হবে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
ডিএইচ/কে
মন্তব্য করুন