৪ দিনে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা নেই গ্রামীণফোনের
তারল্য সংকট, বাংলাদেশ ব্যাংকের এডিআর সমন্বয় ও ডিএসইর মালিকানা নিয়ে চীন-ভারত দ্বন্দ্বে যখন চাপে দেশের পুঁজিবাজার, তখনই বাজার থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে গ্রামীণফোন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর যেখানে ছিল ৫০৬ টাকা ৭০ পয়সা, সেখানে সোমবার লেনদেন শেষ হয় প্রায় ৪৭২ টাকায়।
সে হিসেবে মাত্র ৪ কার্যদিবসে বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত সর্বোচ্চ বাজার মূলধনের কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারে দর হারিয়েছে প্রায় ৩৫ টাকা। যা রেকর্ড ডেটের আগের দিন থেকে প্রায় ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ কম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিনিয়োগকারী বলছেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট। ওই দিনের পর থেকে এই দরপতন গ্রামীণফোনের শেয়ারের কিছুটা মূল্য সমন্বয়। কারণ, কোম্পানিটির শেয়ারদর গেলো ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে অনেক বেড়েছে। ডিসেম্বরে দর ছিল ৪৬২ টাকা। যা থেকে এখনো বেশি আছে।
তবে সম্প্রতি বাজারে লেনদেনে যে ভাটা পড়েছে, সেটিও শেয়ারে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুযারি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ২০১৭ সালের জন্য মোট ঘোষিত লভ্যাংশ দাঁড়ায় ২০৫ শতাংশ।
ওই বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয় ১৬ টাকা ৬৮ পয়সা। সে হিসেবে শেয়ারপতি মুনাফা বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ।
কোম্পানিটির এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:
- বিদ্যুৎ খাতে ৩ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
- মোবাইল ইন্টারনেটে বাড়তি টাকা কেটে নিতে অনুমতি লাগবে
এসআর/এমকে
মন্তব্য করুন