• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নতুন ব্যাংক ঠেকানো যাবে না: গভর্নর

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:১৮

নতুন ব্যাংক আসা বন্ধ করার কারণ নেই। তবে আমি এটা বলছি না যে, নতুন ব্যাংক আমরা হঠাৎ করে ইউটার্ন করে নিচ্ছি। তা মোটেও নয়। আমরা সেটা অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো। জানালেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।

গভর্নর বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যদি আমরা দেখি বা বোর্ড যদি মনে করে সেটা হবে না, তবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা কোনোভাবে রোধ করা যায় না।

ফজলে কবির বলেন, চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকের অবস্থা খুব ভালো যাচ্ছে না। দুই একটা ব্যাংকের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটছে। অনেক সময় মার্জারের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু করার নেই।

গত বছরের শেষ দিকে ব্যাংক খাতে চরম অস্থিরতা দেখা যায়। শুরুটা ইসলামী ব্যাংক দিয়েই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় পরিবর্তন আনা হয়। তারপর আর থামেনি। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংকের মালিকানা নিয়ে অস্থিরতা লেগেই ছিল। বিশেষ আলোচনা ছিল রাজনৈতিক বিবেচনায় আসা ৯ ব্যাংক। আলোচনায় বাদ যায়নি ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ আর বেসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারি।

এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে এক করে দেয়ার পরামর্শ দেন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা
--------------------------------------------------------

গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ব্যাংকগুলোর মার্জারের বিষয়টি তাদের অপশন। এক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন অর্থাৎ দেশের বিদ্যমান আইনে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কিছু করার নেই। বা সরকার থেকে করার কিছু নেই।

তিনি বলেন, কোন ব্যাংকের সঙ্গে কোন ব্যাংক মার্জ হবে সে সিদ্ধান্ত তারাই নেবে। তারা চাইবে মার্জিং এর জন্য। এখনো এটার ক্ষেত্রে অন্য কোনো আইন নেই।

কিছু কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। মূলধনের অপর্যাপ্ততা হয়েছে। কিছু বোর্ড বা মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। এ ধরনের খবর প্রকাশিত হয়েছে।

এ ব্যাপারে গভর্নর বলেন, মালিকানা পরিবর্তন তো হতেই পারে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিজনেসের স্বাভাবিক নিয়ম। একজন মালিক তার শেয়ার অন্যজনের কাছে বিক্রি করতেই পারে।

সোমবার দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।

নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে জুন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ ও সরকারি খাতে কমিয়ে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ করা হয়েছে।

মুদ্রানীতি ঘোষণার পর গভর্নর এসময় সাংবাদিকদের নানা বিষয়ে তথ্য দেন।

আরও পড়ুন:

এসআর/এমসি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা সাংবাদিকদের
প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আবু জাফর
তথ্য সুরক্ষায় কোলোসিটির হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৫ এপ্রিল)
X
Fresh