আজকে স্বর্ণের দাম (২৯ নভেম্বর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় প্রতিনিয়তই ওঠানামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ২৯ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৮ টাকা।
১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা।
সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ১৬০ টাকা।
আরটিভি/কেএইচ
মন্তব্য করুন
টানা ৪ দফায় কত কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে সবশেষ পাঁচবার দাম সমন্বয়ের মধ্যে ৪ বারই স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। টানা চার দফায় ভরিতে মোট দাম কমানো হয়েছে হয়েছে ৯ হাজার ১৭ টাকা। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাজুস। এবার ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেওয়া বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১২ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৫১৯ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯১ হাজার ৪১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে ১৩ নভেম্বর থেকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।
আরটিভি/একে/এসএ
বিশ্ববাজারে বাড়লো স্বর্ণের দাম, বাড়তে পারে দেশেও
মার্কিন নির্বাচনের পর কয়েক দফা কমে এবার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বাড়তে পারে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছিল ২ হাজার ৫৭০ দশমিক ৬৬ ডলারে। একদিনে প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৩৪ ডলার দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’
আরটিভি/এসএপি/এআর
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমলো
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ২ শতাংশেরও বেশি কমেছে। চীনের দুর্বল চাহিদা এবং যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানো নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৫২ ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমে ৭১ দশমিক শূন্য ৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৬৮ ডলার বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ৬৭ দশমিক শূন্য ২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রায় চার শতাংশ ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম কমেছে প্রায় পাঁচ শতাংশ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস শুক্রবার দেখিয়েছে, অক্টোবরে চীনের তেল শোধনাগারগুলো গত এক বছরে আগের তুলনায় ৪.৬ শতাংশ কম অপরিশোধিত প্রক্রিয়া করেছে। দেশটির তেল শোধনাগারগুলোর উৎপাদন গত মাসে অনেক কমে গেছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত আমদানিকারকদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
একই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অক্টোবরে চীনের তেল শোধনাগারগুলো এক বছর আগের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কম প্রক্রিয়াকরণ করেছে। কারণ প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গেছে ও ছোট স্বাধীন শোধনাগারগুলোতে অপারেটিং হার হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া গত মাসে চীনের কারখানার উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ধীর হয়েছে। পাশাপাশি সমস্যা কাটেনি প্রোপার্টি সেক্টরেও।
আরটিভি/কেএইচ/এআর
বিশ্ববাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম, কমতে পারে দেশেও
মার্কিন নির্বাচনের পর শুক্রবার দাম বাড়ার পর শনিবার বিশ্ববাজারে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম কমতে পারে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পর্যন্ত স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছিল প্রতি আউন্স ২ হাজার ৫৬২ দশমিক ৮৬ ডলারে। শুক্রবার স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ছিল প্রতি আউন্স ২ হাজার ৫৭০ দশমিক ৬৬ ডলার।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম কেমানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম কমলে স্বাভাবিকভাবেই দাম কমানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’
আরটিভি/এসএপি-টি
পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের ৩১৭ কনটেইনারে যা আছে
মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জাহাজে পণ্য আনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ শুরু হয়েছে। এই নতুন সেবা চালুর আগে পাকিস্তানের কনটেইনার পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে চট্টগ্রামে আনা হচ্ছিল।
জানা গেছে, গত সোমবার (১১ নভেম্বর) পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে কনটেইনারে কী পণ্য আনা হয়েছে, তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করে ছাড়পত্র দেয় কাস্টমস। এরপরই আমদানিকারকরা খালাস করে নেন। গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়ার আগে জাহাজটি থেকে ৩৭০ একক কনটেইনার নামানো হয় বন্দরে। এর মধ্যে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে আনা হয়েছে ২৯৭ একক কনটেইনার। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হয়েছে ৭৩ একক কনটেইনার।
শিপিং ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কনটেইনারে রয়েছে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ৬ হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করেছে। আর তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে জাহাজটিতে করে সবচেয়ে বেশি আনা হয়েছে সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি। মোট ১১৫ কনটেইনারে রয়েছে সোডা অ্যাশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি পণ্য হলো খনিজ পদার্থ ডলোমাইট। ডলোমাইট রয়েছে ৪৬ কনটেইনারে। মোট ৩৫ একক কনটেইনারে আনা হয়েছে চুনাপাথর। ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট আনা হয়েছে ছয় কনটেইনারে।
এ ছাড়া কাঁচশিল্পের কাঁচামাল ভাঙা কাঁচ আনা হয়েছে ১০ কনটেইনারে। শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের কাঁচামাল কাপড়, রং ইত্যাদি রয়েছে ২৮ কনটেইনারে। একটি কনটেইনারে রয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এসব পণ্য আমদানি করেছে আকিজ গ্লাস কারখানা, নাসির ফ্লোট গ্লাস, প্যাসিফিক জিনস, এক্স সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর ৪২ একক কনটেইনারে পেঁয়াজ রয়েছে ৬১১ টন। এর বাইরে ১৪ একক কনটেইনারে আলু আমদানি হয়েছে ২০৩ টন। এই দুটো পণ্য আনা হয়েছে হিমায়িত কনটেইনারে। ঢাকার হাফিজ করপোরেশন, এম আর ট্রেডিংস ও চট্টগ্রামের আল্লাহর রহমত স্টোর পেঁয়াজ-আলু এনেছে।
পাকিস্তান ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা কনটেইনারে রয়েছে খেজুর, জিপসাম, পুরোনো লোহার টুকরা, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, রেজিন ইত্যাদি পণ্য। শুধু একটি কনটেইনারে এসেছে হুইস্কি, ভদকা ও ওয়াইন। আরব আমিরাতের ট্রুবেল মার্কেটিং অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি থেকে এই পণ্য এনেছে ঢাকার ডিপ্লোমেটিক ওয়্যারহাউস সাবির ট্রেডার্স।
প্রসঙ্গত, সমুদ্রপথে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বন্দরগুলোর চেয়ে বেশি। সি ডিসট্যান্স ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী-এ দূরত্ব ২ হাজার ৬১২ নটিক্যাল মাইলের বেশি। এ জন্য নতুন সেবা চালু করা দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ কয়েকটি দেশের বন্দরকে যুক্ত করেছে। তাদের এই সেবায় যুক্ত জাহাজটি প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে আসবে। এরপর ভারতের মুন্দ্রা, ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান ও মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি এই অঞ্চলে আরও সমন্বিত বাণিজ্য নেটওয়ার্ক জোরদারের একটি বড় পদক্ষেপ দাবি করে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, করাচি থেকে সারাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে, যা দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ। এই সরাসরি রুটটি সরবরাহ শৃঙ্খলা আরও সহজ করবে। পণ্য পরিবহনে সময় কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রায় ২ হাজার ৩০০টি কনটেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজটি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বহন করে এনেছে, যা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতিফলন বলেও দাবি করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিকারক খাতুনগঞ্জের ফারুক ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার ফারুক আহমেদ বলেন, নতুন এই সেবা চালুর আগে পাকিস্তানের করাচি থেকে প্রথমে জাহাজে করে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরের বন্দরে আনা হতো চট্টগ্রামমুখী কনটেইনার। পরে এসব বন্দর থেকে চট্টগ্রামমুখী ফিডার জাহাজে তা তুলে দেওয়া হতো। সরাসরি সেবা চালুর পর এখন করাচি থেকে জাহাজে বোঝাই করার পর কোনো বন্দরে ওই কনটেইনার নামানোর দরকার হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের কনটেইনার জাহাজটি দুবাই থেকে করাচি হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে সোমবার। এতে ৩৭০ একক কনটেইনার পণ্য ছিল। তবে এটি থেকে ৩১৭টি পণ্যবাহী কনটেইনার চট্টগ্রামের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে খালাস করা হয়। মঙ্গলবার পণ্য খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। তবে চট্টগ্রাম থেকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া হয়ে আবার দুবাই যাবে। আশা করি, এই পথে জাহাজটি নিয়মিত চলবে।
আরটিভি/কেএইচ/এসএপি-টি
লাফিয়ে বাড়া স্বর্ণের দামে হঠাৎ পতন, জানা গেল কারণ
চলতি বছরের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড হয়। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ২ হাজার ৮০০ ডলারে পৌঁছায়। তবে এখন প্রতি সপ্তাহেই কমছে মূল্যবান ধাতুটির দাম। মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় ও ডলারের দাম বৃদ্ধিকে স্বর্ণের দাম হ্রাসের কারণ হিসাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারে। ফলে ধাতুটির দাম কমেছে। পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শঙ্কা কাটতে শুরু করার প্রভাবও পড়েছে বাজারে। স্পট মার্কেটে একদিনে স্বর্ণের দাম কমেছে ১৩ শতাংশ। গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম সর্বনিম্ন ২ হাজার ৫৬১ ডলারে নেমেছে।
মার্কিন বাজার পর্যবেক্ষণ সংস্থা কেসিএম ট্রেডের শীর্ষ বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটেরার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় ডলারের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। ডলারের মান শক্তিশালী হওয়ায় স্বর্ণের দাম কমার মূল রহস্য।
বাজুস সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, এই বছরের শুরুর দিকে বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা, গুজব ও ফেডারেল রিজার্ভের সুদহারের প্রভাবে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের প্রতি বিনিয়োগ বেড়ে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ ও ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে সংঘাতের কারণে পৃথিবী ৩য় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঝুঁকছে বলে একটি গুজব উঠেছিল। ফলে বিনিয়োগকারীরা সে সময় বিনিয়োগের উপযুক্ত মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণকেই বেছে নেওয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল দাম।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা, গুজব ও ফেডারেল রিজার্ভের সুদহারের প্রভাবে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের প্রতি বিনিয়োগ বেড়ে গিয়েছিল। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে বাইডেন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পৃথিবী ৩য় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঝুঁকছে বলে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। যার ফলে বিনিয়োগকারীরা সে সময় বিনিয়োগের উপযুক্ত মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণকেই বেছে নিয়েছিল। যার প্রভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল দাম। মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় ও তার ‘ডু দি বিজনেস’ নীতির ফলে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করছেন। এতে স্বর্ণের ওপর চাপ কমায় ধাতুটির দাম কমছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের যে প্রবণতা চলছে এতে দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বিশ্ববাজারে দাম কমলে এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। দাম কমলে যে কোনো সময় দেশের বাজারেও দাম কমানো হতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) গত ১৪ দিনে দেশের বাজারে ৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে। এর মধ্যে ৪ বারই স্বর্ণের দাম কমিয়েছে সংগঠনটি। টানা চার দফায় ভরিতে মোট দাম কমানো হয়েছে হয়েছে ৯ হাজার ১৭ টাকা। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাজুস। এবার ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেওয়া বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি বছর দেশের বাজারে ৪৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যেখানে ২৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।
আরটিভি/এসএপি/এআর
জ্বালানি তেল নিয়ে সুসংবাদ
আগামী বছর বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ওপেক বহির্ভূত দেশগুলোতে তেলের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধির পূর্বাভাস থেকে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর রয়টার্সের।
আইইএ জানায়, ২০২৫ সালে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল উত্তোলন হতে পারে। এর প্রধান কারণ চীনের দুর্বল অর্থনীতি। কেননা বিশ্বের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। দেশটির অর্থনীতি সেপ্টেম্বরে ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া চীনে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে কমছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। চলতি বছর বৈশ্বিক তেলের চাহিদার ওপর ‘মূল চাপ’ ছিল চীনের চাহিদা।
এদিকে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক ১৩ টি দেশের বাইরের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গায়ানা, আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলে তেলের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশগুলো সম্মিলিতভাবে দৈনিক ১৫ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির পথে রয়েছে। যা আইইএ–এর তেল ব্যবহার বৃদ্ধির পূর্বাভাসের (প্রতিদিন ৯ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল) চেয়ে বেশি।
অন্যদিকে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো তাদের ২২ লাখ ব্যারেল দৈনিক উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে উৎপাদন কোটা বাড়ানোর কাজ শুরু করতে পারে তারা।
তবে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলেও ২০২৫ সালে বৈশ্বিক চাহিদার তুলনায় দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল উদ্বৃত্ত থাকবে। কোভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে, এটি একটি শিথিল সরবরাহ পরিস্থিতিই স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।
আইইএ জানিয়েছে, মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় ও তার ‘ডু দি বিজনেস’ নীতির ফলে যুদ্ধের পরিস্থিতি পাল্টাবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রশমন ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা হ্রাস পেতে পারে। এর প্রভাব তেলের বাজারেও পড়বে।
টানা ছয় বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদক হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত আগস্টে দেশটির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দৈনিক রেকর্ড ১ কোটি ৩৪ লাখ ব্যারেলে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
আরটিভি/এসএপি