পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স গঠন
অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, পণ্যমূল্য হুট করে কমানো সম্ভব না, তবে কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পণ্যের দাম যাতে কমে আসে, এজন্য কিছু পণ্যের শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অর্থ খাতে ১ মাসে অনেক কাজ দৃশ্যমান জানিয়ে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে। ব্যাংক খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুর্বল ব্যাংকগুলোর দিকে প্রথমে নজর দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৭ আগস্ট)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা।
লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ১৭ আগস্ট ২০২৪ বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
দেশ ও বৈদেশিক মুদ্রা
বাংলাদেশি টাকা
মালেশিয়ান ১ রিংগিত
২৬ টাকা ৭৭ পয়সা ▲
সৌদির ১ রিয়াল
৩১ টাকা ৪৫ পয়সা ▲
মার্কিন ১ ডলার
১২০ টাকা ৬৪ পয়সা ●
ইউরোপীয় ১ ইউরো
১৩১ টাকা ৫০ পয়সা ●
ইতালিয়ান ১ ইউরো
১৩১ টাকা ৫০ পয়সা ●
ব্রিটেনের ১ পাউন্ড
১৫২ টাকা ৬০ পয়সা ▲
সিঙ্গাপুরের ১ ডলার
৯০ টাকা ৫২ পয়সা ▲
অস্ট্রেলিয়ান ১ ডলার
৭৯ টাকা ৯০ পয়সা ▲
নিউজিল্যান্ডের ১ ডলার
৭১ টাকা ৪৩ পয়সা ▲
কানাডিয়ান ১ ডলার
৮৭ টাকা ৪৭ পয়সা ▼
ইউ এ ই ১ দিরহাম
৩২ টাকা ৬০ পয়সা ▲
ওমানি ১ রিয়াল
৩১১ টাকা ২৫ পয়সা ▲
বাহরাইনি ১ দিনার
৩১২ টাকা ৫৩ পয়সা ●
কাতারি ১ রিয়াল
৩২ টাকা ৮৫ পয়সা ●
কুয়েতি ১ দিনার
৩৯২ টাকা ●
সুইজারল্যান্ডের ১ ফ্রেঞ্চ
১৩৫ টাকা ৯৮ পয়সা ▲
দক্ষিণ আফ্রিকান ১ রান্ড
৬ টাকা ৫৭ পয়সা ▲
জাপানি ১ ইয়েন
০.৮ টাকা ▲
দক্ষিণ কোরিয়ান ১ ওন
০.০৮৭৯৪ টাকা ▲
ইন্ডিয়ান ১ রুপি
১ টাকা ৩৯.৭৭ পয়সা ▼
(▼) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার কমেছে।
(▲) গতদিনের থেকে আজ টাকার রেট বেড়েছে।
(●) টাকার রেট অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, বাড়তে পারে দেশেও
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এরই মধ্যে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫০০ ডলার ছুঁয়েছে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম এমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটি বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে দেশের বাজারে রেকর্ড দামেই স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে দাম বাড়ানো হলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আরও উচ্চতায় উঠবে স্বর্ণের দাম।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে দেশের বাজারে দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার এবং স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম পর্যালোচনা করে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করার পর এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্সের দাম ১০০ ডলার বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এখন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়বে।
তথ্য পর্যালোচনায় গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ২ হাজার ৪২৮ দশমিক শূন্য ৭ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫০৭ দশমিক ৮২ ডলারে থিতু হয় সপ্তাহ শেষে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৭৯ দশমিক ৭৫ ডলার বা ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহে শেষ কার্য দিবসেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ দশমিক ৪৮ ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
এদিকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ১৪ জুলাই। যা কার্যকর হয় ১৫ জুলাই থেকে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৯০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ১ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাক হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে উঠেছে স্বর্ণ।
এর আগে দেশের বাজারে এক ভরি স্বর্ণ সর্বোচ্চ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ২০ এপ্রিল বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই দামে স্বর্ণ বিক্রি হয়। ভালো মানের স্বর্ণের পাশাপাশি ১৫ জুলাই থেকে সব ধরনের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।
দাম কমলো চিনির
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বাজারে চিনির দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ চিনি ডিলার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আগে খুচরায় প্রতিকেজি চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হতো। বর্তমানে তা ১২৫ টাকা থেকে ১২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি চিনিতে কমেছে ৮ থেকে ১০ টাকা। একইভাবে চিনির দাম কমেছে পাইকারি বাজারেও।
মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কোম্পানি অনুযায়ী প্রতিকেজি চিনি ১১৮ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর থেকে চিনির দাম কমেছে। এর আগে প্রতি কেজি চিনি পাইকারিতে ১২২ টাকা থেকে ১২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। অপরদিকে, সরকারি চিনি মিলগেটে বিক্রি করা হচ্ছে ১২৫ টাকা করে। এ দাম দীর্ঘদিন ধরে একই রকম আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারেও চিনির দাম কমেছে। সে অনুযায়ী দেশে চিনির দাম আরও কমা উচিত ছিল।’
ব্যাংক থেকে টাকা তোলা নিয়ে নতুন নির্দেশনা
নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক জরুরি বার্তায় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না।
এ ছাড়া যেকোনো পরিমাণ টাকা অন্য হিসাবে স্থানান্তর করতে পারবেন এবং ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন। নতুন এই নির্দেশনা রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে, গত ১০ আগস্ট অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া। তারও আগে ৮ আগস্ট এক লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারেননি গ্রাহক।
একদিনের ব্যবধানে কমলো কাঁচা মরিচের দাম
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় একদিনের ব্যবধানে এবার কমেছে কাঁচা মরিচের দাম।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। এর আগে কাঁচামরিচরে দাম ছিল সাড়ে ৩০০ টাকা।
বর্তমানে সবজির বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। এদিন বাজারে পেঁপে ৩৫-৪০ আর পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০, ঢেঁড়স ৪০-৫০। অন্যদিকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০, আলু ৬০ টাকা কেজিতে।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে মাছের সরবরাহ। দামও অনেকটা স্থিতিশীল। পাঙ্গাশ ১৮০-২০০ টাকায়, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা এবং বড় আকারের রুই বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩৫০-৪০০ টাকায়।
তবে মাসখানেক ধরে চালের বাজারে মিলছে না কোনো স্বস্তির খবর। বাজারে সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়, মিনিকেট চাল ৭০-৭২, আটাশ ৫৮-৬০ আর নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়।
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে উঠেছে স্বর্ণ।
সোমবার (১৯ আগস্ট ) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯০৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৮৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৭৭৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৭৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে ৮৩ হাজার ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৯০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৩১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৬৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ২৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮৫ টাকা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ২২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ রোববার পর্যন্ত এ দামেই স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া, ১৭ দিনে এলো ১৩ হাজার কোটি টাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বেড়ে যায় বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ। এরই ধারাবাহিকতায় আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে এসেছে ১৩ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ৩ দিন পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর শুধু ৪ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশে ব্যাংক আরও বলছে, আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে বৈধ পথে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৪ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১৩ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বেশি।
এ সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ২ ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৪ কোটি ১৪ লাখ ডলারের বেশি আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে সাড়ে ২১ লাখ ডলার।
আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা মোট ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, সদ্য বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এতে হঠাৎ কমে যায় রেমিট্যান্সের গতি। তবে সরকার পতনের পর সেই চিত্র পাল্টেছে। রেমিট্যান্সের পালে লেগেছে হাওয়া, বৈধপথেই আসছে হু হু করে।