শিগগিরই রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশ করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, খুব শিগগিরই চলতি বছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশ করা হবে। বাজারে ৫, ১০ ও ২০ টাকার কাগজের নোটের অবস্থা খুব নাজুক। এটা দ্রুত পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা হবে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চলতি মাসে বা আগামী মাসে বাজেট পর্যালোচনা করা হতে পারে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, চলতি বা আগামী মাসে বাজেট রিভাইজড করা হতে পারে। বাজেটে বড় বড় উন্নয়ন খাতের প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এ ছাড়া দেশের মানুষকে মুদ্রা যত্নে রেখে ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, বাড়তে পারে দেশেও
বিশ্ববাজারে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৫০ ডলার ছাড়িয়েছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ২ হাজার ৪৮৬ দশমিক ৯৬ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৭৮ দশমিক ৪৮ ডলারে থিতু হয় সপ্তাহ শেষে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৯১ দশমিক ৫২ ডলার বা ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহে শেষ কার্যদিবসেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৩ ডলার বা দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এর আগে এক আউন্স স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫২৯ দশমিক ৯০ ডলারে উঠেছিল। চলতি বছরের ২০ আগস্ট স্বর্ণের এই দাম হয়। বিশ্ববাজারে এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও সে সময় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৪২ টাকা। এটিই দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, সর্বশেষ সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬২১ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩২১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩২৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৭ টাকা কমিয়ে ৮৫ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর এই দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে এই দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ১০০ ডলার বেড়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৬০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৫৮১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে উঠেছে স্বর্ণ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৬ হাজার ২৮২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৭ হাজার ১৩ টাকায় বিক্রি করা হবে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ২৬ হাজার ৩২১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩ হাজার ৩৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৫ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এর আগে, গত ১ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন। তখন টানা ৬ দফা বাড়ার পর এক দফা কমেছিল স্বর্ণের দাম। তবে আবারও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
আরটিভি/একে/এআর
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৭ সেপ্টেম্বর)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা।
লেনদেনের সুবিধার্থে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
বৈদেশিক মুদ্রার নাম
বাংলাদেশি টাকা
মাল্টিজ ১ লিরি
৩০৮.৯৪ টাকা (▲)
মার্কিন ১ ডলার
১২১.২০ টাকা (●)
সৌদির ১ রিয়াল
৩১.৯৮ টাকা (●)
মালয়েশিয়ান ১ রিংগিত
২৭.৬০ টাকা (●)
ব্রুনাই ১ ডলার
৯২.০৩ টাকা (▲)
ইতালিয়ান ১ ইউরো
১৩৩.৭ টাকা (●)
ব্রিটেনের ১ পাউন্ড
১৫৭.৭৮ টাকা (●)
ইউরোপীয় ১ ইউরো
১৩৩.৭ টাকা (●)
অস্ট্রেলিয়ান ১ ডলার
৮০.৮৬ টাকা (●)
নিউজিল্যান্ডের ১ ডলার
৭৩.১৭ টাকা (●)
সিঙ্গাপুরের ১ ডলার
৯২.৪৫ টাকা (▲)
ইউ এ ই ১ দিরহাম
৩২.৭৬ টাকা (▲)
ওমানি ১ রিয়াল
৩১২.১৫ টাকা (●)
কানাডিয়ান ১ ডলার
৮৮.৫৫ টাকা (●)
কাতারি ১ রিয়াল
৩৩.০০ টাকা (●)
কুয়েতি ১ দিনার
৩৯৪.১ টাকা (●)
বাহরাইনি ১ দিনার
৩১৮.৭৭ টাকা (▲)
দক্ষিণ আফ্রিকান ১ রান্ড
৬.৭৫ টাকা (▲)
জাপানি ১ ইয়েন
০.৮৪৩ পয়সা (●)
চাইনিজ ১ ইউয়ান
১৬.৬৯ টাকা (●)
সুইজারল্যান্ডের ১ ফ্রেঞ্চ
১৩৯.৫৭ টাকা (●)
ইন্ডিয়ান ১ রুপি
১ টাকা ৪০ পয়সা (●)
দক্ষিণ কোরিয়ান ১ ওন
০ টাকা ০৯০২৭৯ পয়সা (▼)
(▲) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট বেড়েছে।
(▼) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট কমেছে।
( ● ) টাকার রেট অপরিবর্তিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
আরটিভি/এসএপি
আজকে স্বর্ণের দাম (১৭ সেপ্টেম্বর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় প্রতিনিয়তই উঠা-নামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
ইতিমধ্যেই ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বাজুস কর্তৃক আবারো নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য। আমদানিকৃত বস্তু হিসাবে উক্ত নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
স্বর্ণের প্রকারভেদ দাম (১ ভরি)
২৪ ক্যারেট ১,৩৫,৫৮৬ টাকা (আনুমানিক)
২২ ক্যারেট ১,২৯,৯০২ টাকা।
২১ ক্যারেট ১,২৪,০০০ টাকা।
১৮ ক্যারেট ১,০৬,২৮২ টাকা।
সনাতন পদ্ধতিতে ৮৭,০১৩ টাকা।
আরটিভি/এসএপি
বর্তমানে দেশে রিজার্ভের পরিমাণ যত
বর্তমানে দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হুসনে আরা শিখা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে বর্তমানে আছে ২ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে এর পরিমাণ ২ হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি।
তিনি বলেন, গত জুলাই ও আগস্টে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। রিজার্ভ বৃদ্ধির বড় কারণ প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি।
তিনি আরও বলেন, সংকট কাটতে শুরু করায় ব্যাংকগুলো এখন নিজেরাই ডলার কেনাবেচা করতে পারছে। ডলারের দাম বর্তমানে ১১৮-১২০ টাকার মধ্যে রয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে ও কার্ব মার্কেটে ডলারের দামের পার্থক্য এখন ১ শতাংশেরও কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। আন্তঃব্যাংক লেনদেন সক্রিয় থাকার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখন থেকে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরটিভি/এফএ/এআর
অবশেষে ভারতে যাচ্ছে ৩ হাজার টন ইলিশ
অবশেষে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, রপ্তানিকারকদের আবেদনের বিপরীতে নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ নং ১২৭, ভবন নং ৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়) আবেদন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। উল্লিখিত সময়সীমার পর প্রাপ্ত আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যারা ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই।
এর আগে দেশে সরবরাহ বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এমন অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর আবদার করে বাংলাদেশের কাছে চিঠি পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে।
এক খবরে হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, গত ৫ বছর ধরে ইলিশ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।
আরটিভি/এফআই/এসএ
স্বর্ণের দামে বিশ্ব রেকর্ড, বাড়তে পারে দেশেও
বিশ্ববাজারে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬০০ ডলার ছাড়িয়েছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ২ হাজার ৫৭৮ দশমিক ৪৮ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২ হাজার ৬২১ দশমিক ৫৯ ডলারে থিতু হয় সপ্তাহ শেষে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১১ ডলার বা ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহে শেষ কার্যদিবসেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৩৮ ডলার বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
এর আগে গত সপ্তাহে এক আউন্স স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৮৪ ডলারে উঠেছিল। বিশ্ববাজারে এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারেও সে সময় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা। এটিই দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৬ হাজার ২৮২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ১০০ ডলার বেড়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৬০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’
আরটিভি/এসএপি