ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন দাম নির্ধারণ
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার।
রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১ টাকা কমিয়ে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এর আগে ছিল ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা।
এ ছাড়া লিটারপ্রতি পেট্রোলের বিদ্যমান দাম ১২৭ টাকা এবং অকটেনের দাম ১৩১ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন দাম ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সরকার গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হলো।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২০ আগস্ট)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
বৈদেশিক মুদ্রার নাম
বাংলাদেশি টাকা
মাল্টিজ ১ লিরি
৩০০.৮২টাকা (●)
মার্কিন ১ডলার
১১৮.৯৩ টাকা (●)
সৌদির ১ রিয়াল
৩১.৪৫ টাকা (●)
মালয়েশিয়ান ১ রিংগিত
২৬.৮০ টাকা (▲)
ব্রুনাই ১ ডলার
৮৯.২০ টাকা (●)
ইতালিয়ান ১ ইউরো
১৩১.৮০ টাকা (▲)
ব্রিটেনের ১ পাউন্ড
১৫০.৪৩ টাকা (●)
ইউরোপীয় ১ ইউরো
১৩১.৮০ টাকা (▲)
অস্ট্রেলিয়ান ১ ডলার
৭৯.৯৬ টাকা (▼)
নিউজিল্যান্ডের ১ ডলার
৭১.৫২ টাকা (▼)
সিঙ্গাপুরের ১ ডলার
৯০.৬০ টাকা (▲)
ইউ এ ই ১ দিরহাম
৩২.৫৬ টাকা (▼)
ওমানি ১ রিয়াল
৩১১.২ টাকা (▼)
কানাডিয়ান ১ ডলার
৮৭.৫৪ টাকা (▼)
কাতারি ১ রিয়াল
৩২.৮৫ টাকা (●)
কুয়েতি ১ দিনার
৩৯২.০০ টাকা (●)
বাহরাইনি ১ দিনার
৩১২.৫৩ টাকা (●)
দক্ষিণ আফ্রিকান ১ রান্ড
৬.৫৯ টাকা (▲)
জাপানি ১ ইয়েন
০.৭৮৯ পয়সা (●)
চাইনিজ ১ ইউয়ান
১৬.১৮ টাকা (●)
সুইজারল্যান্ডের ১ ফ্রেঞ্চ
১৩৪.৪ টাকা (●)
ইন্ডিয়ান ১ রুপি
১ টাকা ৩৭ পয়সা (●)
দক্ষিণ কোরিয়ান ১ ওন
০ টাকা ০৮৮৬৬৭ পয়সা (▲)
• (▲) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট বেড়েছে।
• (▼) গতদিনের তুলনায় আজ টাকার রেট কমেছে।
• ( ● ) টাকার রেট অপরিবর্তিত রয়েছে।
এক হাজার টাকার নোট বাতিলের বিষয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
এক হাজার টাকার নোট বাতিল নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এক হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এক হাজার টাকার নোট বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এগুলো নিয়ে হ্যাঁ বা না কিছু বলাই ঠিক না। আমরা বলি এটা থাক। এটাতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। সহজে এগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
এক হাজার টাকার নোট বাতিলের বিষয়টি গুজব কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার দিক থেকে কিছু বলিইনি। সুতরাং গুজব আমি বলব না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাপার।
সর্বশেষ জুলাইয়ে চীনের সঙ্গে যে চুক্তিগুলো হয়েছে সেগুলো কি বহাল থাকবে নাকি এগুলো রিভিউ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়নি। এটি হাই লেভেলে আলোচনা করবো। আমরা বাতিলও করিনি, কিছু করিনি। এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে ক্যাবিনেটে আলোচনা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা ফিরতে শুরু করেছে
ক্ষমতা ত্যাগের পর শেখ হাসিনা সরকারের যখন পতন হয় তারপর ব্যাংক থেকে টাকা তুলেতে শুরু করেন অনেক গ্রাহক। এ সময় কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্ট খালি হলেও অনেক ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা হয়নি। এ অবস্থায় অনেক শাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়।
নিয়ম অনুযায়ী সীমার বেশি টাকা শাখায় জমা রাখা যাবে না। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা জমা রাখছে অনেক শাখা। সরকার পতনের পর কয়েক দিন নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছিল কিছু ব্যাংক। তবে গেল সপ্তাহের পাঁচ দিনে যত টাকা নিয়েছে, জমা করেছে তার চেয়ে বেশি টাকা। তাই গেল পাঁচ দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে দুই হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, অনেক ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে পরিবর্তন এসেছে। দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বর্তমানে ভালো ব্যাংকে জমা রাখছে মানুষ। প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ভল্টের একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি টাকা এলেই তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের চেষ্ট শাখায় জমা করতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে জমা হয় ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত ১৮ আগস্ট তা ছিল ১০ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে নোটস ইন সার্কুলেশন বা প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ কমে গতকাল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৯ কোটিতে নেমেছে। গত ১৫ আগস্ট তা ছিল তিন লাখ ২২ হাজার ৬১ কোটি টাকা। আর গত ৬ আগস্ট কারেন্সি ইন সার্কুলেশন ছিল তিন লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। গত ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ৯ দিনে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ বেড়ে যায় ৬ হাজার ৫২২ কোটি টাকা।
এদিকে, নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক জরুরি বার্তায় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। এর আগে এই সীমা ছিল এক লাখ টাকা।
গত ১০ আগস্ট অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া। তারও আগে ৮ আগস্ট এক লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারেননি গ্রাহক।
তবে যেকোনো পরিমাণ টাকা অন্য হিসাবে স্থানান্তর করতে পারবেন এবং ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বাড়ল
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে চেকের মাধ্যমে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। এর আগের সপ্তাহে নগদ তোলার সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগদ উত্তোলনের সুযোগে আরও ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে নতুন সীমা ঠিক করে দিলো আর্থিক খাতের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থাটি।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডিদের এক জরুরি বার্তায় এই নির্দেশনা দিয়েছে। একাধিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক চার লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও যেকোনো পরিমাণ টাকা আরেক হিসাবে স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ শুরু হয়। ধীরে ধীরে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বাড়ানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে বলে জানা গেছে।
আজকে স্বর্ণের দাম (২৭ আগস্ট)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে সোনার দাম প্রায় প্রতিনিয়তই উঠা-নামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ২৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
ইতিমধ্যেই গত ২৬ জুলাই ২০২৪, বাজুস কর্তৃক আবারো নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য। আমদানিকৃত বস্তু হিসাবে উক্ত নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
স্বর্ণের প্রকারভেদ দাম (১ ভরি)
২৪ ক্যারেট ১,৩০,৬৭১ টাকা (আনুমানিক)
২২ ক্যারেট ১,২৭,৯৪২ টাকা
২১ ক্যারেট ১,২২,১১২ টাকা
১৮ ক্যারেট ১,৪,৬৮৪ টাকা
সনাতন পদ্ধতিতে ৮৬,৫৪৭ টাকা
সেপ্টেম্বরে কোন জ্বালানি তেলের দাম কত কমছে
আগামী সেপ্টেম্বরে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার (২৮ আগস্ট) জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমায় দেশেও সমন্বয় করা হবে। যে কারণে আগামী মাসে তেলের দাম কিছুটা কমবে। পাশাপাশি বর্তমান ফর্মুলা অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে বিপিসির জন্য যতটা মুনাফা রয়েছে, সেটাও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেপ্টেম্বরে অকটেন ও পেট্রোলে লিটার প্রতি ৮ থেকে ১২ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনে লিটার প্রতি দেড় থেকে পৌনে ২ টাকা দাম কমাবে সরকার।
গত ১ জুন থেকে দেশে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা, অকটেন ১৩১ টাকা ও পেট্রোল ১২৭ টাকা দরে বিক্রি হয়ে আসছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল পরিশোধিত ডিজেলের দাম ৯১ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার। আর পরিশোধিত অকটেন ৮৮ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। অকটেনের তুলনায় ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেলে তিন থেকে সাড়ে তিন ডলার বেশি। যে কারণে ডিজেলের দাম তুলনামূলক কম কমানো হবে।
প্রভাবশালীদের ঋণ আত্মসাতের হিসাব হচ্ছে, ব্যাংক পুনর্গঠনে আসছে রোডম্যাপ
এস আলম, সালমান এফ রহমানসহ বিগত সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নামে-বেনামে কত টাকা ঋণ আত্মসাৎ করেছেন তার সঠিক হিসাব হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনর্গঠনের ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে এতে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে অঢেল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন, যার সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে। এই আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার উপরে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, ‘এই ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে। নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে। ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউই, সিআইডি ও দুদকের সহায়তা গ্রহণ করে আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। অর্থ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কার্যক্রমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়, আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন এবং আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সরকার খুব দ্রুতই একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যারা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠনের জন্য ছয়মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।