বছরে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়াতে হবে: আঙ্কট্যাড
এশিয়ার স্বল্প উন্নত বা এলডিসির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। অর্থাৎ অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে প্রতিবছর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ নতুন সংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
২০১৪ সালের পর্যবেক্ষণে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কট্যাড।
বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে আঙ্কট্যাডের বরাতে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি এ তথ্য জানায়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন জানান, টেকসই বিদ্যুৎ খাতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দিতে হবে। আর এ জন্য সরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
এই প্রতিবেদনের বেশ কিছু তথ্য অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যেমন এখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে। যদিও সরকারের সব শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, এসডিজির (জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে বিশ্বব্যাংক এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নিয়ে যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল সেই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে নেপাল ও ভুটানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে তারা লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে।
২০০৯ সালে তীব্র বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে দায়িত্ব নেয়া আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নয়নের পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী নানা উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বিদ্যুৎ, গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে কয়লা ভিত্তিক বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন