চামড়ার দামে খুশি নয় কোন পক্ষই
সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না অভিযোগ বিক্রেতাদের। তারা বলেন, এজেন্টরা দাম কম দিয়ে চামড়া কিনছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, চামড়ার প্রকৃত দাম দেয়া হয়েছে। তাতে খুশি নন বিক্রেতারা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার ঈদের দিন থেকেই চামড়া সংগ্রহ শুরু করেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তারা ট্যানারির এজেন্ট ও আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে ছুটছেন।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের একজন বিক্রেতা বলেন, ‘চামড়ার দাম কম পাওয়া যাচ্ছে। এক হাজার টাকার চামড়া বিক্রি করেছি ৬০০ টাকায়। সারাদিন বৃষ্টি ছিল তাই দরদাম করতে পারিনি। কম দাম হলেও বিক্রি করে দিয়েছি। আরেকজন মৌসূমী ব্যবসায়ী আনিস মিয়া বলেন, যে ছাগলের চামড়ার দাম ৩০০ টাকা হবার কথা। তা বিক্রি করেছি ২০০ টাকায়।
তবে ট্যানারি এজেন্ট ও আড়তদাররা এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, বিক্রেতারা ভালো দাম পাচ্ছে। বরং যে দাম দেয়া হচ্ছে তা থেকে আড়তদাররাই লোকসানে পড়বে।
৯ সেপ্টেম্বর চামড়া ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করে কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করেন। রাজধানীতে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, রাজধানীর বাইরে ৪০ টাকা। এ ছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ২০ টাকা, বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা ও মহিষের চামড়া প্রতি বর্গফুট ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
ডিএইচ/
মন্তব্য করুন