• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও মোড়ে মোড়ে চামড়ার স্তূপ, ক্রেতা নেই

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:৪৮

চামড়ার চাহিদা নেই এই অজুহাতে ন্যায্যমূল্য দিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কোরবানিদাতা ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও পাড়ার মোড়ে মোড়ে চামড়ার স্তূপ লক্ষ্য করা গেছে।

ক্রেতা নেই এজন্য পাড়া-মহল্লার মসজিদ-মাদ্রাসা পরিচালনাকারী কমিটিও চামড়ার ন্যায্যমূল্য দিচ্ছেন না।

তবে অভিযোগ উঠেছে কম মূল্যে চামড়া কেনার জন্য একটি চক্র দলবেঁধে মাঠে নেমেছে। কিন্তু কোরবানিদাতা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চামড়া সংগ্রহকারীরা ন্যায্যমূল্য না পেলে বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। তাই রাস্তার মোড়ে-মোড়ে ছোট-বড় চামড়ার স্তূপ পড়ে আছে এখনো।

বিক্রেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, সময়মতো এসব চামড়ায় লবণ দিতে না পারলে বা বিক্রি করতে না পারলে চামড়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই অনেকেই কোরবানির পশুর চামড়া অল্পমূল্যেই বিক্রি করে দিয়েছেন।

কয়েকজন কোরবানিদাতা জানান, বেশি সময় ধরে রাখলে চামড়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বাধ্য হয়েই অল্পমূল্যে চামড়া বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। একজন কোরবানিদাতা বলেন, ৭৮ হাজার টাকা মূল্যের গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র সাড়ে ৪শ টাকায়।

রামপুরার আরেকজন কোরবানিদাতা জানান, ৬০ হাজার টাকার গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন ৩০০ টাকায়। তবে কেউ কেউ চামড়ার দাম না পেয়ে মাদরাসায় দান করে দিয়েছেন।

গত বছর এক কোটি পিস চামড়া কিনলেও এ বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীরা সোয়া কোটি পিস পশুর চামড়া কিনবে বলে নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু বেমালুম চেপে যাচ্ছেন সেই বিষয়টি। উল্টো বলছেন, গত বছরের চামড়ার ৫০ শতাংশ রয়ে গেছে। নতুন করে চামড়া কেনার আগ্রহ নেই। এসব বলে বলেই তারা সরকারের কাছ থেকে গত বছরের দরেই চামড়া কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। গতবছর প্রতি ফুট গরুর চামড়া ঢাকায় ৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০ টাকা ও খাসির চমড়া সারা দেশেই ২২ টাকা দরে কিনেছেন। এবারও তারা একই দর চূড়ান্ত করে নিয়েছেন সরকারের কাছ থেকে। পাশাপাশি শর্ত দিয়ে রেখেছেন, চামড়ায় লবণ মাখানো হতে হবে। ঢাকার বাইরে এই চামড়ার দর হবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। লবণ মাখানো প্রতিফুট খাসির চামড়ার মূল্য ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ২২ টাকা। এভাবেই দেশের চামড়া খাত এখন পুরোপুরি সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh