• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

থামছেই না নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতা                    

আরটিভি নিউজ

  ১৬ মে ২০২২, ১৮:১০
থামছেই, না, নিত্যপণ্যের, বাজারের, অস্থিরতা,     
ফাইল ছবি

এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা' নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা যেন থামছেই না, এরমধ্যেই বেড়েছে আটার দাম। মাছ, মাংস, ভোজ্যতেল, চিনি, মসলাসহ সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে। সব পণ্যের দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

রোববার (১৫ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা মোটা মসুর ডাল খুচরা ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। গত ১ মে যা ছিল ১০০ টাকা।

খোলা ময়দা ৬৫ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গত ১ মে খোলা ময়দার দাম প্রতি কেজি ৫৫ ও প্যাকেট ময়দার দাম প্রতি কেজি ৬০ টাকা ছিল। ভারত থেকে গম বন্ধের ঘোষণায় বস্তাপ্রতি আটা-ময়দার দাম প্রায় ২০০ টাকা বেড়ে গেছে।

যে পেঁয়াজ গত ১ মে কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকা, সে পেঁয়াজ গতকাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, মসুর ডাল ও আটা-ময়দা দাম নতুন করে বেড়েছে। গত সপ্তাহে খোলা আটা ছিল ৪০ টাকা , এখন কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা হয়েছে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। দেশি মসুর ডাল দেশি ১৪০ এবং মোটা ডাল ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেড়েছে সয়াবিন তেলেরও। গতকাল (রোববার) বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা লিটারে বিক্রি হয়েছে। গত ১ মে এই তেল লিটারপ্রতি বিক্রি হয় ১৬০ টাকায়। গত তিন দিনের তুলনায় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে।

দাম বেড়েছে আমদানি করা রসুনেরও। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

আমদানি করা নিত্যপণ্যের পাশপাশি দেশে উৎপাদিত পণ্যেরও দাম বেড়েছে। রোববার দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, যা গত ১ মে বিক্রি হয় ৩০ টাকায়। ২০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কেজি দরে। রোববার থেকে দেশি ডাল ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। রোববার লাল ডিম ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হয়েছে, যা ২৩ ফেব্রুয়ারি ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হয়েছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কিছু কারণ ছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছেন।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সারা বিশ্বেই মুদ্রাস্ফীতি চলছে। তার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ছে। আবার একসময় ব্যবসায়ীরা এক কেজি পণ্য বিক্রি করে লাভ করতেন সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা, এখন লাভ করতে চান ৫০ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির এটিও একটি বড় কারণ।

তিনি বলেন, আমদানিকারকরা সম্মিলিত হয়ে দাম বাড়িয়ে পণ্য বাজারে সরবরাহ করছেন। এদিকে বৈধ-অবৈধ নানা উপায়ে কিছু মানুষের আয় বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরা যে দাম চাচ্ছেন সেই দামেই পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন। এটিও মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতক দত্তক পেলেন সেবিকা
সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম
জোরেশোরে চলছে কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়ার কাজ (ভিডিও)
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলো
X
Fresh