• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

চিংড়ি, ঘাসসহ ২৬ শ্রেণির পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ

আরটিভি নিউজ

  ০৮ মে ২০২২, ২০:১৬
চিংড়ি, ঘাসসহ ২৬ শ্রেণির পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ
ছবি : সংগৃহীত

তিন বছর মেয়াদি আমদানি নীতি আদেশ জারি করেছে সরকার। ২০২১-২৪ সালের নতুন এই আমদানি নীতিতে ২৬ শ্রেণির পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সম্প্রতি নতুন আদেশটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। আগের আদেশে নিষিদ্ধ পণ্যের শ্রেণি ছিল ১২টি। তবে নতুন আদেশে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬টিতে।

এর আগে ২০১৮-২১ সময়ের আমদানি নীতি আদেশ হয়নি। আর আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ এর মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ জুন। এরপর প্রায় চার বছর পর নতুন এই নীতি আদেশ জারি হলো।

নতুন আমদানি নীতিমালায় যে ২৬ শ্রেণির পণ্য আমদানি-নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চিংড়ি, জীবিত শূকর ও শূকরজাত সব ধরনের পণ্য, পপি সিড ও পোস্তদানা, ঘাস, ওয়াইন লিজ ও আরগোল, ঘন চিনি, কৃত্রিম সরিষার তেল, নিম্নমানের পণ্য অথবা পুরনো, ব্যবহৃত, রিকন্ডিশন্ড পণ্য বা কারখানায় বাতিলকৃত বা স্টকলটের পণ্য ইত্যাদি।

এছাড়া, পুরাতন বা ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, গ্যাস সিরিঞ্জ, দুই স্ট্রোক ইঞ্জিন ও চেসিসবিশিষ্ট থ্রি-হুইলার যানবাহন অর্থাৎ টেম্পো, অটোরিকশা, ক্যাসিনোসহ জুয়া খেলার যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ, রিকন্ডিশন্ড অফিস ইকুইপমেন্ট অর্থাৎ ফটোকপিয়ার, টাইপরাইটার, টেলেক্স, ফোন, ফ্যাক্স, পুরনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সামগ্রী ও পুরনো ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, সব ধরনের শিল্প স্লাজ ও স্লাজ দিয়ে তৈরি সার ও যে কোনো পণ্য, সব ধরনের বর্জ্য পদার্থ আমদানি-নিষিদ্ধ বলেও গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

এগুলো ছাড়াও আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় আছে ‘স্টকহোম কনভেনশন অন পারসিসট্যান্ট অর্গানিক পলিউটনেস (পিওপি)’ এর আওতাধীন বিভিন্ন রাসায়নিক কীটনাশক ও শিল্পজাত দ্রব্য। এসব দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে এলড্রিন, ক্লোরডেন, ডিডিটি, ডাই-এলড্রিন, এনড্রিন, হেপ্টাক্লোর, মিরেক্স, টক্সফেন, হেক্সক্লোরোবেনজিন, পলিক্লোরিনেটেড বাই-ফিনাইল, হাইড্রোলিক হর্নসহ ৭৫ ডেসিবেলের ঊর্ধ্বমাত্রার সব হর্ন, পলি প্রোপাইলিন ও পলিথিন ব্যাগ ইত্যাদি।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতর প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের সীমারেখা দেখানো হয়নি এমন মানচিত্র, চার্ট ও ভৌগোলিক গ্লোব, হরর কমিকস, অশ্লীল, নাশকতামূলক সাহিত্য পুস্তিকা, সংবাদ সাময়িকী, পোস্টার, ফটো, ফিল্ম, কাগজপত্র, অডিও-ভিডিও টেপ ইত্যাদি পণ্যও আমদানি-নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে। তাছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন ধরনের পণ্য ও উহার পেটিকাও তালিকায় রয়েছে।

এদিকে, নিষিদ্ধ পণ্যের বাইরেও কিছু পণ্য রয়েছে যেগুলো শর্তপূরণ সাপেক্ষে আমদানি করা যায়। নতুন আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ফার্নেস অয়েল, সাড়ে চার সেন্টিমিটারের কম ব্যাস বা দৈর্ঘ্যের মাছ ধরার কারেন্ট জাল, পাঁচ বছরের পুরনো অধিক গাড়ি আমদানি, তিন বছরের বেশি পুরনো ও ১৬৫ সিসির ঊর্ধ্বে সব ধরনের মোটরসাইকেলসহ এলএনজি ও লিকুইফাইড প্রপেন ও বিউটেনস ছাড়া পেট্রোলিয়াম গ্যাস ও অন্যান্য গ্যাসীয় হাইড্রো-কার্বন এবং পেট্রোলিয়াম কোক ও পেট্রোলিয়াম বিটুমিন ছাড়া পেট্রোলিয়াম তেলের রেসিডিউ।

অন্যদিকে, নতুন আমদানি নীতিমালা অনুযায়ী সব ধরনের খেলনা ও বিনোদনমূলক পণ্যের ক্ষেত্রে কোন বয়সের শিশুর জন্য প্রযোজ্য, তা উল্লেখ থাকতে হবে এবং প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার ক্ষেত্রে তা ‘স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়’ মর্মে রফতানিকারক দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সনদের প্রয়োজন হবে।


মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে বিএনপি’র ইফতার
পণ্যের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী
দুনিয়ার ক্রেতা এক হও 
ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার কারণে বাড়ছে পণ্যের দাম : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 
X
Fresh