• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশে প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র

আরটিভি নিউজ

  ১০ এপ্রিল ২০২২, ১২:৪৩
দেশে প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র
ফাইল ছবি

আমিন বাজারে বাংলাদেশের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। নিজ দায়িত্বে প্লান্ট স্থাপনসহ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে কোম্পানিটি। কারখানাটি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ তারা বিক্রয় করবে বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রয়ের মাধ্যমে তারা তাদের ব্যয় নির্বাহ করবে।

এ ক্ষেত্রে কারখানা তৈরির জন্য সিটি করপোরেশন দেবে ৩০ একর জমি। নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে সিটি করপোরেশন। প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩ হাজার টন বর্জ্য লাগবে কারখানায়। প্রয়োজনীয় বর্জ্য সরবরাহ করতে না পারলে উত্তর সিটি করপোরেশনকে প্রতি টন ঘাটতি বর্জ্যের জন্যে ১ হাজার টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বিনিয়োগকৃত কোম্পানি সিএফসিকে।

প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে পরবর্তীতে দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা পর্যায়েও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা চিন্তা করবে সরকার। ৪২.৫ মেগা ওয়ার্ড ক্ষমতা সম্পূর্ণ এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণ নির্মাণের দায়িত্ব নেবে চীনা এই কোম্পানিটি। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ১৮ দশমিক ২৯৫ টাকা। আগামী ২০ মাসের মধ্যে চায়না কোম্পানিটি এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। তবে প্রকল্প স্থাপন করা হবে ২৫ বছর মেয়াদে।

সাধারণত এক টন পৌরবর্জ্য থেকে ৫৫০ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। দেশে দৈনিক উৎপাদিত ২০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্যের মাধ্যমে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বা ৩৫ হাজার মেট্রিক টন জৈব সার উৎপাদন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পুরো এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এর আগে কেরানীগঞ্জে বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করা হলেও বিভিন্ন কারিগরি ও আর্থিক সমস্যার কারণে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

বিশ্বের প্রায় সব উন্নত দেশে থাকলেও বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো এ রকম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। শহরের সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগ দীর্ঘদিন ধরেই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করে আসছে, যা এবার বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এটি একটি নতুন ধরনের পদ্ধতি। মূলত বর্জ্য পুড়িয়েই কারখানায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে এখানে। পৌরবর্জ্য পোড়ানোর পর তা থেকে উৎপাদিত তাপকে কাজে লাগিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে পানি ফুটিয়ে বাষ্প উৎপাদন করা হবে। আর তা দিয়েই টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

তুরাগ নদীর কাছাকাছি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতানাধীন আমিন বাজার এলাকায় তৈরি হবে এই বিদ্যুৎ কারখানা। বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প নেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আমিন বাজারে ল্যান্ড ফিল্ডের ওপর চাপ কমানো। তবে প্রকল্পটি অত্যন্ত জটিল কারণ ডিএনসিসি-তে বর্জ্যের দাহ্য হওয়ার ক্ষমতা বা ক্যালোরিফিক ভ্যালু খুবই কম। এ প্রকল্প সফল হলে দেশের অন্য সিটি করপোরেশনে ল্যান্ড ফিল্ডে একই প্রকল্প নেওয়া হবে। এরই মধ্যে দ্রুতগতিতে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা
তথ্য সুরক্ষায় কোলোসিটির হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৫ এপ্রিল)
খেলাপি ঋণ ও ভর্তুকি কমানোর পদক্ষেপ জানতে চায় আইএমএফ
X
Fresh