• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

‘দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে’

আরটিভি নিউজ

  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:৩৩
‘দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে’

বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এ দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। দেশের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির কাছে সুবিধা পেয়ে বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এতে বিড়ি মালিকরা করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ‘শিল্প বাঁচাও, শ্রমিক বাঁচাও’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন এ আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সহসভাপতি মো. লোকমান হাকিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি নাজিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকর সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।


আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়িশিল্পে সমাজের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলাঙ্গ, বিধবাসহ লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ, বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি ধ্বংস করা হচ্ছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। এ দেশীয় কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির কাছে সুবিধা পেয়ে বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এতে বিড়ি মালিকরা করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কতিপয় অসাধু আমলা বিড়ির ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শুল্ক বৃদ্ধি করছে। এমনকি বিড়িশিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিড়ি শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

এ সময় আগামী বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানো, বিড়ির ওপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স না দেওয়া, কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আইনি প্রক্রিয়ায় নকল বিড়ি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং বিড়িশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক ও মালিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অভিনেতা পার্থসারথি দেব আর নেই
লড়াই চলবে, জনগণ বিজয়ী হবেই : মান্না
শাবি প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক সম্পন্ন
‘ইউথফুল রুটস: প্লান্টিং হারমোনি ফর টুমরো’ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত
X
Fresh