বাজেট প্রস্তাবনায় প্লাস্টিক খাতের কয়েক দফা প্রস্তাব
প্লাস্টিক শিল্পের মেশিনারিজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারসহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ বাজেট প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। আয়করে ৪টি ও মূসকে ১৪টিসহ প্লাস্টিক শিল্প সংক্রান্ত অন্য আরও ৪টি প্রস্তাব দেয়া হয়।
সোমবার রাজস্ব বোর্ডে এ প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
যেসব কাঁচামাল দেশে উৎপাদিত হয় না তার আমদানি শুল্ক ৩ শতাংশ, মধ্যবর্তী কাঁচামাল যা দেশে উৎপাদিত হয় তার উপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রাখার প্রস্তাব করেছে বিপিজিএমইএ। পাশাপাশি তৈরি আমদানি পণ্যের শুল্ক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আবার আরডি, এআইটি, এটিভি এবং প্রয়োজন ক্ষেত্রে এসডি আরোপ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ট্যারিফ ও এনটি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ প্রস্তাবও করা হয়েছে।
প্রস্তাবানায় বলা হয় বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ আমদানি করতে হয়। বর্তমান বাজেটে মেশিনারিজের উপর ১ শতাংশ আমদানি শুল্কসহ অন্যান্য করাদি পরিশোধ করা লাগে। এ কারণে পণ্য মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এ সেক্টর কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। উদীয়মান প্লাস্টিক খাতে প্রতি বছরই রাজস্ব আয় বাড়ছে। তাই এই খাতকে উৎসাহিত করতে বাজেট প্রস্তাবনায় এই প্রস্তাব করা হয়েছে ।
এছাড়াও ওষুধ শিল্প, কৃষি ও খাদ্যের মোড়ক হিসেবে ব্যবহৃত মধ্যবর্তী পণ্যের কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশের প্রস্তাব রেখেছে বিপিজিএমইএ। তৈরি প্লাস্টিক পণ্যের আমদানি পর্যায়ে বেশি করে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। সব আইটেমের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ বহাল রাখার সুপারিশ করা হয় বাজেট প্রস্তাবে। একই সঙ্গে প্লাস্টিক পাইপ, প্লাস্টিক সিস্টার্নস, প্লাস্টিক ক্রেট ইত্যাদি তৈরির আইটেমের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ বহাল রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্কের ক্ষেত্রে তৈরি প্লাস্টিক পণ্যে শতভাগ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয় বাজেট প্রস্তাবনায়।
এমসি/ এমকে
মন্তব্য করুন