• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইমো'র ‘সেলিব্রেট লাইফ টুগেদার’ ক্যাম্পেইন

আরটিভি নিউজ

  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:৪৩
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইমো'র ‘সেলিব্রেট লাইফ টুগেদার’ ক্যাম্পেইন

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে অগ্রগামী করতে সম্প্রতি ‘সেলিব্রেট লাইফ টুগেদার’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ইমো। এটি ২০২১ সালে ইমোর প্রথম ক্যাম্পেইন এবং এর মাধ্যমে এমন কিছু মানুষের গল্প ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সামনে নিয়ে আসা হবে যারা ইমো ব্যবহার করে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পাশাপাশি নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন। এছাড়াও ক্যাম্পেইনটির আরেকটি উদ্দেশ্য হলো সকল ধরণের মানুষকে তাদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প শেয়ার এবং ইমো’র সঙ্গে তাদের জীবনকে উপভোগ করতে উৎসাহিত করা।

প্রথম গল্প হিসেবে ইউটিউবে https://youtu.be/cRAluc8QtFE মেঘার গল্প দেখা যাবে। ২৬ বছর বয়সী তরুণী মেঘা ইমোর মাধ্যমে কিভাবে তার ক্যারিয়ার নতুনভাবে শুরু করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছে তা উঠে এসেছে এই ভিডিওর মাধ্যমে। এছাড়াও পুরো বছরজুড়ে দেখানো হবে আরও কিছু নতুন মানুষের সফলতার গল্প। গত মার্চ থেকে কোভিড-১৯ এর পুরো সময়জুড়ে অনেক মানুষ যখন চাকরি হারিয়েছে, তখন মেঘা প্রতি মাসে প্রায় ৩ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছে। শুরুতে তার ধারণা ছিল না ইমো’র মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। প্রথমে তার একজন বন্ধুর আহ্বানে তিনি কয়েকটি ইমো গ্রুপে যুক্ত হন। তবে শিক্ষা-ভিত্তিক একটি গ্রুপে যুক্ত হওয়াটি ছিল তার জীবনের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত।

তিনি মন্ত্র মুগ্ধের মতো প্রতিদিন নতুন জিনিষ শিখতে থাকেন এবং প্রথম দিকে একজন ইমো হোস্ট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখন মেঘা প্রতিদিন প্রায় ৭৫টি গ্রুপ সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করে। তার সবচেয়ে বড় গ্রুপটিতে ৭৮ হাজারের অধিক এবং সবচেয়ে ছোট গ্রুপটিতে প্রায় ২২ হাজার সদস্য রয়েছে। এখন তিনি অন্যদেরকেও বিভিন্ন গ্রুপে সংযুক্ত হতে এবং নিজের গ্রুপ তৈরি করতে উৎসাহিত করছেন।

মেঘা বলেন, আমি ইমোকে শুধু একটি ম্যাসেজিং এবং কলিং অ্যাপ হিসেবে সীমাবদ্ধ করে রাখব না। আমি বরং বলবো সীমাহীন সুযোগ এই অ্যাপে অপেক্ষা করছে। এটি আমাকে জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করে আসছে এবং আমি বিশ্বাস করি এটির মাধ্যমে অনেকের জীবন পরিবর্তন করা সম্ভব, বিশেষ করে নারী এবং গৃহিণী যারা সাধারণত বাসার বাইরে খুব একটা বের হন না।

ইমো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার হিউ বলেন, ইমো’তে আমরা মানুষকে সংযুক্ত করতে এবং তাদের জীবন-মান উন্নত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা গর্বিত যে ইমো ব্যবহারকারীরা এটিকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ বানাচ্ছেন এবং তাদের জীবনের অর্জনে ইমো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন মাধ্যম হিসেবে ২০২০ সালে ইমো ব্যবহারের সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে। বাংলাদেশিরা প্রায় ৯ হাজার ৬৮০ কোটি ম্যাসেজ এবং ২ হাজার ৬০০ কোটি অডিও-ভিডিও কল ইমো’র মাধ্যমে করেছেন। এছাড়াও ইমো স্থানীয়করণ এবং শীর্ষ স্থানীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০২০ সালে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের অডিও-ভিডিও কলে প্রায় ১৫ কোটি গিগাবাইট ডাটা বাঁচিয়েছে। ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন মাধ্যম ছাড়াও ইমো মাই প্ল্যানেট কন্টেন্টফিড, ভয়েসরুম এবং গেমস ইত্যাদির মতো ইন্টারঅ্যাকটিভ ফাংশন তৈরি করেছে যেখানে মানুষ তাদের আগ্রহের বিষয় জানাতে পারে, প্রতিভার বিকাশ এবং জীবনের নতুন নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে পারে।

এসআর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh