• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চুরি যাওয়া রিজার্ভ ফেরত আসবে : অর্থমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ মার্চ ২০১৭, ১৮:২৪

সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে চুরি যাওয়া রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের বাকি টাকা দেশে ফেরত আসবে। ইতোমধ্যে দেড় কোটি ডলার ফেরত এসেছে। এ টাকা ফেরত পেতে ফিলিপাইন সরকার সার্বিক সহযোগিতা করছে।
জানালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মঙ্গলবার সচিবালয়ের অর্থমন্ত্রণালয়ে রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ হান্নান, অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর, পুলিশের আইজিপি ও সিআইডি প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভের অর্থ অবশ্যই ফেরত পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে কেউ অসহযোগিতা করছে না। এমনকি ফিলিপাইনও আমাদের সহায়তা করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে (রিভাইজড) দেখা হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, সামনেও এটা চলবে। ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ২০০৮ সাল থেকে যুগোপযোগী করার কাজ চলছে। ২০১৩ সালে শেষ হলেও এখনো রিপ্লেসমেন্ট করা হচ্ছে। শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট এ অগ্নিকাণ্ডে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি নিরাপত্তার উন্নায়ণ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকটির আইটি স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি বেশ পুরনো। সেটির মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল মেয়াদি ছিল এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেখানে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটিকে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়ে আসা হবে।

গেলো বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হিসাব থেকে হ্যাকাররা ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে ৩৫টি নির্দেশনা পাঠানো হয়। এর জন্য আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটকে ব্যবহার করা হয়।

পরে ৮ ফেব্রুয়ারি—বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন, ৫টি অনুমোদিত সুইফট বার্তার মাধ্যমে নিউইয়র্ক ফেডের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার সরানো হয়েছে। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার গেছে ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকে। আর ২ কোটি ডলার গেছে শ্রীলঙ্কার প্যান এশিয়ান ব্যাংকিংয়ে। আরও ৮৫ কোটি ডলার স্থানান্তরের নির্দেশনা আটকে দেয়া হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি—ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইন থেকে অন্যত্র চলে গেছে। ঐদিনই বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর আতিউর রহমান ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর আমান্দো তেতাংকোর কাছে ফোন করে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পাবার বিষয়ে সহযোগিতা চান।

গেলো বছরের ১১ নভেম্বর ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত দেয় ফিলিপাইন সরকার।

এমসি/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh