• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

জরিমানা আদেশ স্থগিতের শুনানি ৩০ মার্চ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৭ মার্চ ২০১৭, ১৯:৪৯

পরিবেশ ক্ষতির দায়ে হাজারীবাগের ১৫৪ ট্যানারি মালিককে বকেয়া বাবদ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ জরিমানা পরিশোধের আদেশ স্থগিতের শুনানি আসছে ৩০ মার্চ ঠিক করলেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি ওই দিন ট্যানারি কারখানাগুলোকে জরিমানা করে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনেরও শুনানি হবে। জানালেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।

সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ট্যানারি মালিকদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ।

এর আগে ১৯ মার্চ ১৫৪ ট্যানারি মালিককে বকেয়া বাবদ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা পরিশোধের আদেশ স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ২ মার্চ ট্যানারি মালিকদের ওই জরিমানা ২ সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন হাইকোর্টে আবেদন করেন।

হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে সাভারের হেমায়েতপুরে নিতে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় গেলো বছরের ১৮ জুলাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে ঠিক করেন আপিল বিভাগ। শিল্প সচিবকে এ অর্থ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়। সেই জরিমানা আদায়ে ব্যর্থতার কারণে শিল্প সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।

গেলো বছরের ১৬ জুন বিচারপতি সৈয়দ মোহম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ট্যানারি মালিকদের পরিবেশের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দেয়ার নির্দেশ দেন।

পরে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গেলো ২৩ জুন হাইকোর্টের আদেশ ১৭ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সেই হিসেবে আবেদনটি শুনানির জন্য এলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের জরিমানার সিদ্ধান্ত ঠিক রেখে পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিলেন।

এমসি/ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh