• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘পুঁজিবাজারের বড় দুর্বলতা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কম’

আরটিভি নিউজ

  ৩১ অক্টোবর ২০২০, ২২:০০
economic market, salmab f rahmab,
সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কম। ৮০-৮৫ শতাংশই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করে। এটা বড় দুর্বলতা। আর মিউচুয়াল ফান্ডের অংশ ৩ শতাংশ বলা হলেও লেনদেন আরও কম। আইসিবি ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই বললেই চলে। কিন্তু একটি বাজারতো একমাত্র আইসিবি দিয়ে চলতে পারে না।

শেয়ারবাজার নিয়ে শনিবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) যৌথভাবে ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএমবিএ সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল।

সালমান এফ রহমান বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনেই উৎপাদনহীন ও কারখানা বন্ধ থাকা কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি হচ্ছে। কিন্তু ডিএসই কিছুই করছে না। সবাই দেখছে একটি কোম্পানির ১০ বছর ধরে কারখানা ও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রতিনিয়তই এই রকম কোম্পানির শেয়ার নিয়ে ডিএসইর ব্রোকাররা কারসাজি করছে। ডিএসইর সামনেই বন্ধ থাকা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে। তারা তো লুকিয়ে করছে না। তারপর ডিএসই এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ডিএসইকে এই অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। পুঁজিবাজারে যদি কোনো দুই নম্বরি হয়ে থাকে, সেটা পুরো পৃথিবীতেই সবার আগে স্টক এক্সচেঞ্জ ধরে। বিএসইসিতো অনেক পরের বিষয়। প্রথমেই ধরবে স্টক এক্সচেঞ্জ। তাদের ওখানেইতো প্রতিদিন লেনদেন হয়। কোনো ধরনের অনিয়মের লেনদেন দেখলে বুঝতে পারা যায়। কিন্তু এখনও আমাদের পুঁজিবাজারে যে কোম্পানি বন্ধ এবং সবাই সেটা জানি, তারপরেও সেই কোম্পানির দর বাড়ে। কারা এসব কোম্পানির শেয়ার কিনে এবং কারা বিক্রি করে- তা স্টক এক্সচেঞ্জ জানে। এখানে যে ম্যানিপুলেশন হচ্ছে এবং ওপেনলি হচ্ছে, লুকিয়ে কেউ করছে না। কিন্তু বাজার পড়ে গিয়ে কোনো কিছু হলেই রাস্তায় লোকজন নেমে সরকারকে দোষারোপ করে।

তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। পুঁজিবাজারের দায়িত্ব শুধু সরকার, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিএসইসির, আর স্টক এক্সচেঞ্জ শুধু বসে থাকবেন, তা না। তাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের এই মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, বিনিয়োগকারীদেরই জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে। লাভ-লোকসান আপনার।

দেশের পুঁজিবাজারকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্ট (বিও) ডিজিটাল হওয়া উচিত উল্লে­খ করে সালমান এফ রহমান বলেন, এটা ডিজিটাল হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য যেমন সুবিধা হবে, তেমনি অনেক বিনিয়োগকারী বাসায় বসেই অ্যাকাউন্ট খুলে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এখন অনেক ব্যাংক অ্যাকাউন্টও বাসায় বসেই ডিজিটালি করা যাচ্ছে।

এফএ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নিপুণের অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস
মোবাইলে এক মাসে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন
বেক্সিমকোর ২৬২৫ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড অনুমোদন
চীনের সঙ্গে সরাসরি লেনদেনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
X
Fresh