• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কথা রাখে না ভারত

আরটিভি নিউজ

  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:০৭
Onion export
ফাইল ছবি

সেই সেপ্টেম্বর, আবারও ধাক্কা। গত বছর এই মাসেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের জন্য হাহাকার লেগেছিল। কারণ পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। এবারও সেই একই ঘটনা ঘটালো ভারত। যখন বাংলাদেশ খুশিমনে বন্ধু রাষ্ট্র ভারতকে ১২ টন ইলিশ পাঠিয়েছে, অমনি ভারতের পেঁয়াজ বন্ধ হলো। জনমনে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কারণে গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রথমে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং পরে রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এরপর বাংলাদেশের বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয় ৩০০ টাকায়।

পরবর্তীতে পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন, মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার। নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর গত মার্চে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত।

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত হলে বাংলাদেশকে আগেই জানানো হবে এমন প্রতিশ্রুতি ভারত দিলেও ভারত এবারও কথা রাখেনি। নিজ স্বার্থে ভারত কখনই বন্ধুর কথা চিন্তা করে না। এবারও আগাম ঘোষণা না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে তারই প্রমাণ দিলো।

ভারতের একটি সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির পর সব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। হঠাৎ বন্ধের ঘোষণা হওয়ায় বন্দরের ওপারে পেঁয়াজ ভর্তি যে ট্রাকগুলো ছিল, সেগুলো বর্ডার পার হতে দেয়া হয়নি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি ২৫০ মার্কিন ডলারের এলসি সংশোধন করে ৭৫০ ডলারে উন্নীত করলেই তবে পেঁয়াজ ঢুকবে।

অন্যদিকে দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দর দিয়ে সবশেষ রোববার পর্যন্ত ভারত থেকে ১২৯টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকে প্রায় ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। সোমবার সারা দিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। হিলি স্থলবন্দরের কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সেখানের সংকটের কথা জানিয়েছেন, ভারতেও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কথা বলছেন।

তবে হঠাৎ পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে এবার সার্বিক অবস্থায় কেমন প্রভাব পড়বে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

গত বছরের পেঁয়াজের সংকট দেখা দিলে ২৪ নভেম্বর ২০১৯ এফবিসিসিআইর এক বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাৎসরিক পেঁয়াজের চাহিদা নিয়ে একটি হিসেব তুলে ধরেন। সেখানে দেখা যায়, দেশের বাৎসরিক পেঁয়াজের ২৪ থেকে ২৫ লাখ টন। অর্থাৎ প্রতি মাসে দুই লাখ টন পেঁয়াজ লাগে। প্রতিমাসে গড়ে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

গত ৭ বছরের হিসেবে উল্লেখ করে তখন মন্ত্রী জানান, মৌসুমের শেষ দিকে এসে এক লাখ টনেরও বেশি পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এর ৯৫ হাজার টন ভারত থেকে আসত, আর ৫ হাজার টন অন্য দেশ থেকে আসত।

আরও পড়ুন: ‘ভারতে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে বিশ্ব বাজারে পাকিস্তানের ঢুকে পড়া সম্ভাবনা’

জিএ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পরও কমেছে দাম
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত
বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত
বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
X
Fresh