রেকর্ড উচ্চতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ

করোনার এই প্রকোপের মধ্যেও বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছেই। দেশে এই প্রথমবারের মতো দেশের রিজার্ভ অতিক্রম করেছে ৩৯ বিলিয়ন ডলারের সীমা। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা তিন হাজার ৯৪০ কোটি মার্কিন ডলারে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র রিজার্ভের এ তথ্য জানায়।

জানা গেছে, এর আগের আড়াই মাসে এই রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে চার বিলিয়ন ডলার। আর গত দুই সপ্তাহে যুক্ত হয়েছে আরও এক বিলিয়ন ডলার। তার আগে গত জুন মাসে প্রবাসীরা ১৮৩ কোটি ডলার দেশে পাঠান। জুলাই ও আগস্ট মাস মিলিয়ে দেশে ৪৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের আয় এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। সব মিলিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠান, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে আরো জানা গেছে, এর আগে গত ১৭ আগস্ট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলার এবং পরদিন ১৮ আগস্ট তা ৩৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। এরপরের দুই সপ্তাহে যোগ হয় ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ১২৫ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় ধরে মজুত এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে।

সূত্র জানায়, মূলত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই একের পর এক নতুন রেকর্ড ছাড়াচ্ছে রিজার্ভ। গত মে মাস থেকে প্রবাসীরা রেকর্ড ভাঙা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রতিমাসেই। আর তারই প্রভাবে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বিশেষ করে বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা এবং হুন্ডি বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপ এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। আর এর প্রভাবেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভও দিন দিন বাড়ছে।
পি