কুমিল্লা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ২০:২২
স্ত্রী সন্তান রেখে ১২ বছরের শ্যালিকাকে নিয়ে পালালো দুলাভাই!

স্ত্রী-সন্তান রেখে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১২ বছরের শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়েছেন দুলাভাই। এ কারণে ৭ মাসের ছেলে শিশুকে নিয়ে সমস্যার মাঝে পড়েছেন বড় বোন।
গত ৫ ডিসেম্বর এ ঘটনায় শ্বশুর খোরশেদ আলম বাদী হয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লার লাকসাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার কাদ্রা গ্রামে। থানায় অভিযোগ হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েক দিন ধরে এ নিয়ে এলাকাজুড়ে আলোচনা চলছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লাকসামের কাদ্রা গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন মন্টু (২৩) বিয়ে করেন একই গ্রামের এক মেয়েকে। দু’বছর সংসার জীবনে তাদের সাত মাস বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে ১২ বছরের স্কুল পড়ুয়া শ্যালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন মন্টু। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে পার্শ্ববর্তী এলাইচ গ্রামের নানার বাড়িতে থাকাবস্থায় মন্টু শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান মন্টু।
এ ঘটনার পর থেকে মেয়েকে না পেয়ে জামাই মন্টুকে আসামি করে লাকসাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শ্বশুর।
অন্য সূত্র থেকে জানা যায়, তোফাজ্জল হোসেন মন্টু শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন। একসঙ্গে দুই বোনকে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় সমালোচনা চলছে। এলাকার কিছু লোক ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
তোফাজ্জল হোসেন মন্টুর মা সেতারা বেগম জানান, মেয়েটা খুব চালাক। সে আমার ছেলেকে পাগল করে বিয়ে করেছে।
মন্টুর পিতা আবুল কাশেম মোল্লা বলেন, ঘটনাটি গ্রামের সরদার-মাতবররা মীমাংসা করবেন।
মামলার বাদী খোরশেদ আলম জানান, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই আর মেয়েকে ফিরত চাই।
এদিকে মন্টুর স্ত্রী বলেন, ৭ মাসের শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি আমার স্বামীকে চাই।
লাকসাম থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, অভিযোগ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লাকসাম থানার এসআই মনোজ কান্তি কুরি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জিএম/ এফএ