• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
ভারত শত্রুতা করে দেশের মানুষের ওপর নির্যাতনে নেমেছে: এ্যানি
লক্ষ্মীপুরে ২ থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও রায়পুর থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। গত দুদিনে তিনটি শর্টিগান, ২টি রাইফেল, একটি পিস্তল ও প্রায় তিন শ’ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো উপজেলা আনসার ও ভিডিপির হেফাজতে রয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আল ইমরান ও রায়পুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা রামগঞ্জ ও রায়পুর থানায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় থানায় থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটে নেয় তারা। থানা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ সদস্যরা। থানাতে থাকা কি পরিমাণ অস্ত্র লুট হয়েছে- সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে থেকে শুক্রবার সকালে থানার পুকুর থেকে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়৷ বৃহস্পতিবারও একটি অস্ত্র ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।  এ দিকে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় জেলার ৬ থানাগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। রামগঞ্জ উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, লুট হওয়া অস্ত্রগুলো ফিরিয়ে দিতে উপজেলাব্যাপী আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। কেউ কেউ নিজ দায়িত্বে অস্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন৷ এ পর্যন্ত দুটি শর্টগান, একটি রাইফেল, একটি পিস্তল, রাইফেলের দুটি মাথা ও প্রায় দুশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। রায়পুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুল হোসেন বলেন, বিকাল ৪টায় থানায় এসে একটি অস্র (শর্টগান) ও রাত ১১টায় সরকারি মাচ্চেন্টস একাডেমির সামনে আরেক ব্যাক্তি গুলিসহ একটি রাইফেল উদ্ধার করে জমা দিয়েছেন। দুটি অস্র ইউএনও ইমরান খানের নির্দেশনায় সেনাবাহিনীর অফিসারের কাছে জমা দেয়া হয়। বাকি অস্ত্রগুলো ফেরত পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অস্ত্র ফেরত দেওয়া ছাত্রদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
লক্ষ্মীপুরে মুজিব চত্বরকে ‘শহীদ আফনান’ চত্বর ঘোষণা
লক্ষ্মীপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ২ 
লক্ষ্মীপুরে বাসায় ঢুকে হাত-পা বেঁধে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা 
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই লঞ্চকে ধাওয়া দিয়ে ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেট
নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে লক্ষ্মীপুরে এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চের মালিককে ১০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সদরের মজু চৌধুরীর হাটের লঞ্চ ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর রহমান।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবদুর রহমান, নৌপুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মো. সাইফুজ্জামান।  জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। এ সুযোগে লঞ্চগুলো সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করে থাকে। এমন অভিযোগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে ভোলার উদ্দেশ্য রওনা হয়। এসময় বারবার বারণ করা সত্ত্বেও লঞ্চটি না থেমে চলতে থাকে। পরে স্পিডবোটে ধাওয়া করে মাঝ নদীতে লঞ্চটি থামানো হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ঈদ এলেই লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌরুটে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় থাকে। এ সুযোগে কিছু অসাধু মালিকের লঞ্চ ঝুঁকি জেনেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদীপথে যাতায়াত করে। যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
লক্ষ্মীপুরে টিপুর হ্যাটট্রিক জয়
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিপুল ব‍্যবধানে জয় পেয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপু। তিনি জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এ নিয়ে তিনবার তিনি বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। বুধবার (২৯ মে) রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফল থেকে জানা যায় এ তথ্য। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষ হয়। জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ১৯২ কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফলে টিপু পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লব ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৩৯৭ ভোট। এ হিসেবে সালাহ উদ্দিন টিপুর ভোটের ব‍্যবধান ৬৩ হাজার ৩০৭ ভোট। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বই প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ৬১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. ইউছুফ পাটওয়ারী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীক নিয়ে মো. হাফিজ উল্যাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৫৬ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪১ হাজার ৭৬৮ ভোটে ফরিদা ইয়াসমিন লিকা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ২০১৪ সালে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পরবর্তীতে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির দায়িত্বও পালন করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী খালেদা আক্তার হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭১৫ ভোট। তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ দিকে এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একজন ছাড়া আর কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় ভোট নিয়ে সাধারন ভোটারদের মাঝে উৎসাহ আমেজ পরিলক্ষিত হয়নি। তাই ভোটের শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় টানা তিনবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন সালাহ উদ্দিন টিপু। এর মধ্যে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং ২০১৮ সালে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেন টিপু।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
তৃতীয় ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ।  বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ উপজেলায় ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন ব্যালটের মাধ্যমে।  লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাাঁচজন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদর উপজেলায় ২১টি ইউনিয়নে ১৯২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৫ জন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একজন ছাড়া আর কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় ভোট নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে উৎসাহ আমেজ পরিলক্ষিত হয়নি। তাই সকালে ভোটের শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হতে পারে।  রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এতে  ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে পিকআপভ্যানের ধাক্কায় সিরাজুল ইসলাম (৪২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সটকা সাঁকো এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সিরাজ সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামের নুরুল আমিন ড্রাইভারের ছেলে।  তিনি সোলার গ্রুপ ও ব্লিং বিপণন (মার্কেটিং) কর্মকর্তা ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় কমলনগর থেকে সিরাজুল ইসলাম মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ঘটনাস্থল পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী পিকআপ মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয়ে সিরাজ ঘটনাস্থলেই মারা যান।  খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নিজাম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, মরদেহ সদর হাসপাতালে রয়েছে। পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সয়াবিনখেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু 
লক্ষ্মীপুরে সয়াবিনখেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মো. মোস্তফা মিয়া (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  মোস্তফা মিয়া ওই এলাকার মৃত সুজা মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, কৃষক মোস্তফা মিয়া বাড়ির পাশের সয়াবিনখেতে কাজ করতে যান। কাজের ফাঁকে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে খেতের মধ্যেই মারা যান তিনি। কুশাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, বজ্রপাতে মোস্তফা মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। থানার অনুমতি সাপেক্ষে পরিবারের লোকজন মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর 
লক্ষ্মীপুরে পুকুরে ডুবে দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। তার নাম মো. ফারহান।  শনিবার (১১ মে) বেলা ১১টায় জেলা সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের কামানখোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফারহান ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।   স্থানীয়রা জানান, বাড়ির লোকজনের অজান্তে শিশু ফারহান বাড়ির পুকুরে ডুবে যায়। স্বজনরা আশপাশে খুঁজেও পাচ্ছিল না। ডুবে যাওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট পর তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।   এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, পুকুরে ডুবে শিশুটি আগেই মারা গিয়েছিল। তাকে আমরা মৃত পেয়েছি। পরে স্বজনরা তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে।