• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
বান্দরবানে পাহাড় ধস, রুমার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
বান্দরবানে বিশেষ সেনা অভিযান, কেএনএফ সদস্য নিহত
বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে এক কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছেন।  বুধবার (১২ জুন) সকালে উপজেলার জুরভারাং এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অ্যাডমিন) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমি। নিহত কেএনএফ সদস্যের নাম ভান লাল থিয়াং বম (৩০)। তিনি রুমা পাইন্দু ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জুরভারাং পাড়ার বাসিন্দা লাল মিন সন বমের ছেলে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমি বলেন, জুরভারাং এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিশেষ অভিযান চালায়। সেখানে একজন কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। সকালে উপজেলার জুরভারাং এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। দুদিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি। রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এই অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।
বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে বম জনগোষ্ঠীর মানববন্ধন
রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি, ৫২ জন দুদিনের রিমান্ডে
কেএনএফের প্রধান নাথানের স্ত্রীসহ দু’জনকে বদলি
বান্দরবানে কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বৈঠক
বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হয়েছে আজ। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টায় রুমা উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেএনএফের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ও পুনর্বাসন করতে আলোচনা হয়। এ সময় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, মনিরুল ইসলাম মনু, উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা, সি অং খুশী, সিং ইয়ং ম্রোসহ ১৩ সদস্য এবং কেএনএফের মুখপাত্র লাল জং ময় বমের নেতৃত্বে কেএনএফের ৮ সদস্য বৈঠকে অংশ নেয়। কেএনএফের অন্য সদস্যরা হলেন- কেএনএফের সেন্ট্রাল কমিটি ও টিম লিডার, কেএনএফ’স রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর পিস ডায়ালগ-এর সাধারণ সম্পাদক মি. লালজংময় সাংগঠনিক সম্পাদক লালসাংলম, উপদেষ্টা লালএংলিয়ন, এক্সেকিউটিভ মেম্বার পাস্টর ভানলিয়ান, গ্রাহাম বম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রুয়াললিন বম, সাংপাহ খুমি, আজৌ লুসাই।  বৈঠক শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, কেএনএফের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তারা যথেষ্ট আন্তরিক, তারা বিভিন্ন বিষয় উত্থাপন করেছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে বৈঠক আরও হবে। একদিনে তো আর সব সমাধান হবে না। আশা করি আলোচনার মাধ্যমে আস্তে আস্তে সমাধানের পথ খুঁজে পাবো। তবে আমাদের আজকের আলোচনা সফল হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ নভেম্বর রুমার মুনলাই পাড়ায় কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করেন বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
বান্দরবানে ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, বাইকচালক নিহত
বান্দরবানে ট্রাক-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক বাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জেলার রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুমা-বগালেক সড়কের মুনলাই পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী আরও একজন আহত হন। জানা যায়, নিহত বাইক চালকের নাম মো. সালেহ (৪৫)। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া এলাকার মিয়া হোসেনের ছেলে। আহত আজাদ (৩৯) একই এলাকার মৃত হাজী আবদুল মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুমা-বগালেক সড়কের মুনলাই পাড়া এলাকায় একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক মারা যান। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আরও একজন আহত হন। এ দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক জানান, নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বগালেকগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত থেকে আসা মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোটরসাইকেলে বগালেক-কেওক্রাডং ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানের বগালেক ও কেওক্রাডংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পর্যটকদের যেতে নিরুৎসাহিত করেছে রুমা উপজেলা প্রশাসন।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তবে কোনো পর্যটক মোটারসাইকেল নিয়ে গেলে সেটি প্রশাসনের জিম্মায় রেখে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রুমা-কেউকেরাডং সড়কে উন্নয়ন ও সম্প্রতি পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যানকে অপহরণের ঘটনায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে। তাই পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে শুধুমাত্র মোটরসাইকেলে যাতায়াতে পর্যটকদের সাময়িকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় যেতে দেওয়া হবে। এছাড়া রুমা-কেউকেরাডং সড়কের বাসলং পাড়া, হারমুন পাড়া, দার্জিলিং পাড়া এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের অবস্থান দেখা যাওয়া পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কষ্টসাধ্য। তাই পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোটরসাইকেলে ওই স্পটগুলোতে যাতায়াতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।