শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যার্তদের
উজান থেকে নেমে আসা পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সামান্য কমেছে। শেরপুর-জামালপুর সড়কের ব্রহ্মপুত্র বীজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শেরপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান ও শিমুলতলী এলাকার কজওয়ে দুটি পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় ছয়দিন থেকে শেরপুর-ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গের সঙ্গে এ পথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে পানিবাহিত রোগের। জেলায় ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার তিনশ’ ৫০ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা, আউশ ধানের ক্ষেত, সবজি ও পাটের আবাদ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন : ‘ঘরের চালোত ২৫ দিন থাকি আছি বাহে’
এসএস
মন্তব্য করুন