দ্বিতীয় দফা বন্যায় সিরাজগঞ্জে পানিবন্দি দেড় লক্ষাধিক মানুষ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বর্ষণে পানি দ্রুত গতিতে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জে প্রমত্তা যমুনা নদী রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। প্রতিদিন নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা পানিতে ডুবে যাচ্ছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় দফা বন্যায় টানা তিন সপ্তাহের অধিক সময় জেলার যমুনা নদীর অববাহিকার পাঁচ উপজেলা কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের ১ লাখ ৭৩ হাজার বানভাসি পানিবন্দি অসহায় মানুষদের ভোগান্তি চরম পর্যায় গিয়ে ঠেকেছে।
বন্যাদুর্গত মানুষদের খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যর অভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে এক দুর্বিসহ মানবতার জীবন-যাপন করছে পানিবন্দি ও বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রিত বন্যার্ত মানুষেরা। নদী বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র নদী ভাঙনে দিশেহারা যমুনাপাড়ের মানুষেরা।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং একই সময় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধের হার্ডপয়েন্ট ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
উল্লেখ্য, প্রথম দফা বন্যায় চলতি জুলাই মাসের ১ তারিখে কাজিপুর পয়েন্টে যমুনানদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয় ও সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার রেকর্ড করা হয়।
কাজিপুর পয়েন্টে দ্বিতীয় দফায় প্রথম দফার চেয়ে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার বেশি ও সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার বেশি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনা নদীতে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এসএস
মন্তব্য করুন