পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই
পঞ্চগড়ে টানা ভারি বর্ষণে করতোয়াসহ অন্যান্য নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পঞ্চগড় সদর উপজেলার করতোয়া নদীর মিরগড় ঘাটের চারশত মিটার কাঠের সেতু পানিতে তলিয়ে গিয়ে ধাক্কামাড়া ইউনিয়ন ও সাতমেরা ইউনিয়নের দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
এদিকে পৌরসভার নিমনগড়, পৌরখালপাড়া, রামের ডাংগা শতাধিক বাড়িতে করতোয়া নদীর পানিতে ডুবে গেছে। ফলে সেখানে বসবাসরত পরিবারগুলো আশপাশের উঁচু স্থানে এবং মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছে। আপাতত দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।
পৌরখালপাড়ার বাসিন্দা জাহিদ হোসেন জানান, রোববার রাতে করতোয়া নদীর পানি দিয়ে আমার বাড়ি ডুবে গেছে। সোমবার সকাল হতে দুঃশ্চিন্তায় আছি কি করবো কোথায় যাবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের পানি আসতে শুরু করলে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. মহসিন জানান, কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে করতোয়ার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আপাতত বন্যার আশঙ্কা নেই, কারণ করতোয়ার সঙ্গে ভারতের শাঁও নদীর সংযোগ আছে। শাঁও নদীতে পানি বৃদ্ধি হলে সেই পানি যদি করতোয়া আসে সেক্ষেত্রে বন্যা হতে পারে।
পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র তৌহিদুল ইসলাম জানান, অতিবর্ষণ হলেই আমার এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। প্রায় দুই শতাধিক পরিবার এখন উঁচু স্থানে অবস্থান করছে। তাদের শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
এসএস
মন্তব্য করুন