ভয়াবহ রূপ নিয়েছে লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতির
লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। যেদিকে চোখ যায় শুধু পানির প্রবল স্রোত।
তিস্তা নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ায় উজানের ঢলে প্লাবিত হয়ে লাখো মানুষ থেমে থেমে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে তৃতীয় দফায় ভারতের পাহাড়ি ঢলের মাত্রা বেড়ে যায়। তা অব্যাহত থেকে রোববার রাতে ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। অবশ্য সোমবার সকাল ৬টায় ২ সেন্টিমিটার কমে ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় পানি। তিস্তার পানি ৬৫ সেন্টিমিটারের ওপরে গেলে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ রক্ষার্থে ফ্লাড বাইপাস ধসে গিয়ে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়ে জেলার অন্তত ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অধিবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে সীমাহীন দুর্ভোগে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন পানিবন্দি মানুষজন। সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিস্তা ব্যারেজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম। পানির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তিস্তা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। খুলে দেয়া হয়েছে ব্যারেজের সবগুলো গেট। পানির শো শো শব্দ ও তিস্তার গর্জনে আতংকে তিস্তাপাড়ের মানুষ, অনেকেই পানিবন্দি ঘরবাড়ি ফেলে আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন।
এদিকে বানভাসি মানুষগুলোর মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন