• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ঢালচরে করোনা নেই, আছে আশঙ্কা

হাতিয়া প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৩ জুলাই ২০২০, ১২:০৮
Health
ছবি সংগৃহীত

কারো মুখে নেই মাস্ক, চা দোকানে জমজমাট আড্ডা, সামাজিক দূরত্ব কেউ জানে না, মসজিদে বিশাল জুমার জামাত, জ্বর সর্দি কাশিতে গ্রাম্য ডাক্তার একমাত্র ভরসা, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার কোনও চিহ্ন নেই সেখানে, উপসর্গ থাকলেও নেই পরীক্ষার ব্যবস্থা, তাই এখানকার মানুষের দাবি এখানে করোনা নেই, আছে আশংকা। নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চচল ঢালচরের চিত্র এটি।

জানা যায়, হাতিয়ার সুখচর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড ঢালচর। প্রায় পাঁচ শত পরিবারের বসবাস এখানে। দ্বীপের মানুষের একমাত্র ভরসা মসজিদ মার্কেট বাজারটি। বাজারে সকাল বিকাল প্রায় পাঁচশত লোক বিভিন্ন প্রয়োজনে জমায়েত হয়। কিন্তু করোনা মহামারিতে কেউ ব্যবহার করে না সুরক্ষাসামগ্রী। যে যার মতো চলাফেরা করতেছে দেখলে বুঝার উপায় নাই যে দেশে এত বড় একটি মহামারি চলছে।

ঢালচরের উত্তর সমাজের কৃষক মো. জহির উদ্দন (৪৬) জানান, দ্বীপে কোথাও নেই ক্যাবল নেটওয়ার্ক দুই একটি পরিবারে টেলিভিশন থাকলেও শুধু বিটিভি দেখতে হয় তাদের। এতে দেশের এই মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে কোনও ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে চরে দুই একজন মোবাইলে ও সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করায় কিছুটা জানতে পেরেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢালচরে কোথাও সরকারি- বেরসকারি ছোট বড় কোনও হাসপাতাল নেই। বর্তমানে ঢালচরে মানুষের জ্বর, সর্দি, কাশি হলে গ্রাম্য ডাক্তার তাদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। হাতিয়ার সঙ্গে নদীপথ হওয়ায় এখানে সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও নেই।

সরকারিভাবে হাতিয়াতে করোনা সতর্কতায় ব্যাপক প্রচারণা থাকলেও ঢালচরসহ বিভিন্ন চাঞ্চলে কোনও প্রচারণা নেই। সরকারি বিধিনিষেধ এখানে উপক্ষিত। সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকারী বাহিনীর অনুপস্থিতিতে যে যার মতো চলাপেরা করছে বলে জানান পল্লী চিকিৎসক জাপর উদ্দিন (৫০) ডাক্তার ।

দ্বীপের অনেকের দাবি ঢালচরে করোনা নেই। তবে মাঝে মধ্যে হাতিয়া ও নোয়াখালী থেকে কিছু লোক আসে তাদের মাধ্যমে করোনা চড়াতে পারে এখানে। এদের আসা যাওয়া বন্ধ করে দিলে আমরা নিরাপদ থাকতে পারি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, হাতিয়ার ঢালচরসহ চরাঞ্চলে করোনা এখনও নেই। বাস্তবতা হলো সেখানেও করোনা মহামারি ছড়াবে। এক্ষেত্রে সকল চরাঞ্চল আমাদের নজরদারিতে আছে। কোনও লোক করোনা হলে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না এ বিশ্বাস আমাদের আছে।

উল্লেখ্য, হাতিয়াতে প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ৪৬৫ জনের নমুনা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৪৬৫জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া যায়। যাতে নতুন আটজনসহ ৬৩ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স থেকে ১১জনকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
যে কারণে ইফতারে রাখবেন স্বাস্থ্যকর দই-চিড়া
‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে দূষণে দ্বিতীয় ঢাকা
হাতিয়ায় হেলমেট বাহিনীর তাণ্ডব, ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর
X
Fresh