• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দোহারের ‘রাজা’র দাম ১৫ লাখ!

ঢাকা দক্ষিণ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১২ জুলাই ২০২০, ১৩:৩৪
দোহারের ‘রাজা’র দাম ১৫ লাখ!
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দোহার উপজেলার চর লটাখোলা এলাকার সিদ্দিকীয়া দাওয়াখানার স্বত্বাধিকারী হাকীম মো. আব্দুস ছালাম শখের বসে আমেরিকান ব্রাহ্মা জাতের একটি গরু কিনে লালন পালন শুরু করেন। লাল রংয়ের গরুটির এখন উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। ওজন ৯০০ কেজি। আকর্ষণীয় এই গরুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে লোকজন। তাই আব্দুস ছালাম আদর করে গরুটি নাম রেখেছে ‘রাজা’। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজা’র দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।

জানা যায়, প্রায় ৩১ মাস আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে আমেরিকান ব্রাহ্মা প্রজাতির গরুটি কিনেছিলেন আব্দুস ছালাম। এরপর থেকে পরম আদর যত্নেই বড় করছেন ষাঁড়টিকে। রাজাকে রাজার মতো বড় করতে পরিশ্রম করছে পরিবারটি। রাজা’র জন্য বানানো হয়েছে আলাদা শেডের ব্যবস্থা। রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা ইলেকট্রিক ফ্যানের সু-ব্যবস্থা। খাবারের ব্যাপারেও আলাদা যত্ন করতে হয় রাজা’র। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রয়েছে সয়াবিনের খৈল, গম, ভুট্টা, ছোলা, পায়রা, সবুজ ঘাস ও ফল।

কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে উচ্চবিত্তদের কাছে পছন্দের প্রথমে এই জাতের গরুর আকর্ষণ বরাবরই বেশি। রাজার উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। ওজন ৯০০ কেজি। উন্নত আড়ম্বরপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠা যার, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সেই ‘রাজা’র মালিক তার দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা!
‘রাজা’ই আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে উপজেলার সবচাইতে বড় বলে দাবী মালিকের। ব্রাহ্মা গরু রোগ প্রতিরোধী। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এই জাতের গরু খুবই মানানসই। এ জাতের গরু সাধারণত ৮০০-১৫০০ কেজি মাংস উৎপাদনে সক্ষম।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ জাতের গরু ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও স্বাভাবিক আচরণ ও খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। অন্যান্য জাতের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন এই গরুর মাংসে চর্বির পরিমাণও কম। এই গরু নিয়ে এখন স্বপ্নের বীজ বপন করছেন চর লটাখোলা এলাকার আব্দুস ছালাম। তার এ স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
কোরবানিকে সামনে রেখে রাজার পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন হাকীম আব্দুস ছালাম। 1আব্দুস ছালাম বলেন, অনেক যত্ন করে আমি আমার রাজাকে আড়াই বছর ধরে লালন পালন করে আসছি। রাজার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রয়েছে সয়াবিনের খৈল, গম, ভুট্টা, ছোলা, পায়রা ,সবুজ ঘাস ও ফল। আমার ইচ্ছা রাজাকে বাড়ি থেকেই বিক্রি করবো। যেহেতু করোনার মহামারি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই কোরবানির হাটে গিয়ে বিক্রির তেমন কোনও ইচ্ছা নেই আমার।

তিনি আরও জানান, রাজাকে লালন পালন করার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আমাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছে। ইতোমধ্যে তারা রাজাকে দেখতে ও ক্রয় করতে দোহার-নবাবগঞ্জ ও আশপাশের উপজেলার অনেক ক্রেতাই আসছেন। ব্যাটে-বলে মিললেই বিক্রি হয়ে যাবে আব্দুস ছালামের প্রিয় “রাজা”।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাকার যেসব জায়গায় বসবে কোরবানির পশুর হাট
ব্রাজিল থেকে কোরবানির পশু আনতে চায় সরকার
X
Fresh