বিজিবির সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত, ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে সৈয়দ আলম (৩৫) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (১২ জুলাই) মধ্যরাতে টেকনাফ স্থল বন্দর সংলগ্ন দমদমিয়া বিওপির ১৪ নম্বর ব্রিজের কাছে কেয়ারী খালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাইট্যংপাড়া ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে। তবে সৈয়দ আলম মিয়ানমারের নাগরিক। ১০ বছর যাবত এ ঠিকানায় বসবাস করেছেন।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল বলেন, ভোর রাত ২ টার দিকে ওই স্থান দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার হয়ে দেশে প্রবেশের সংবাদে বিজিবির একটি বিশেষ টহল কৌশলগত অবস্থান নেয়। সেখানে দুইজন ব্যক্তি সন্দেহজনক ঘুরাঘুরি করতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে অপর এক ব্যক্তি মিয়ানমার হয়ে নাফ নদী সাতরিয়ে তীরে প্রবেশ করে তিনজন একত্রিত হয়। এ সময় টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলেই বিজিবির উপর গুলি বর্ষণ করে পাচারকারিরা। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হলে সরকারি জান মাল রক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুড়ে। তিন চার মিনিট গুলি বিনিময় হয়। আশপাশের জনসাধারণ এগিয়ে আসলে গুলি করতে করতে পালিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৪০ হাজার ইয়াবা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজসহ একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে রেফার করেন। সেখানে পৌঁছলেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমান মৃতদেহটি মর্গে রয়েছে।

মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, তিনি মূলত মিয়ানমার নাগরিক। বিগত ১০ বছর আগে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। টেকনাফে বসবাস করে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিলেন। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এসএস