• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১১ জুলাই ২০২০, ১৩:৪৯
Stephen of Natore
ছবি সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রামে দরজার তালা ভেঙে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক পুলিশের বিরুদ্ধে।

গেল বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের বর্নি গ্রামের স্টিফেন রোজারিওর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্টিফেন রোজারিও বর্নি গ্রামের মৃত আগস্টিন রোজারিওর ছেলে এবং শুকর ও কবুতর ব্যবসায়ী।

স্টিফেন রোজারিও জানান, স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূসহ আমি বহ্নি গ্রামের কৃষি মাঠে আবাদি জমিতে মুগ কালাই তুলতে যাই। দুপুর দুইটার দিকে লোকমুখে শুনতে পাই তোমাদের ঘরের তালা ভেঙে পুলিশের লোক ঘরে ঢুকেছে।

সংবাদ পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার দুইটি ঘরের তালা ভাঙা ও দরজা খোলা। বাড়িতে প্রতিবেশীরা উঠানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি ও আমার পরিবারসহ ঘরের ভেতরে ঢুকে দেখতে পাই, ঘরের আসবারপত্র সব উলোট-পালোট। আলমারির তালা ভাঙা, ড্রয়ার খোলা এবং ব্যবসায়ীর ড্রয়ারে রাখা তিন লাখ টাকা নাই।

আর্তনাদ করে তিনি বলেন, জোনাইল খ্রিস্টান এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড খেকে তিন লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করে ওই টাকা বাড়িতে রাখা ছিল। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রক পুলিশ হঠাৎ আমাদের অজান্তে অভিযান পরিচালনা করে ঘরের তালা ভেঙে টাকাগুলো নিয়ে গেছে বলে আমাদের ধারণা।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমি সোনামসজিদ এলাকায় ২৩ পিস শুকর তিন লাখ আশি হাজার টাকায় ক্রয় করে ৩০ হাজার টাকা বায়না চুক্তি করেছি। যাহা আজ শনিবার সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে নিয়ে আসার কথা ছিল।

বাড়ির পাশে কর্মরত ফার্নিচার মিস্ত্রি সুবীধ চন্দ্র সুত্রধর জানান, ৪-৫ জন পুলিশের লোক এসে আমার কাছ থেকে হাতুর-ছেনি নিয়ে স্টিফেন রোজারিওর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে।

স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে এবং ঘরে থাকা আলমারীর তালা ও ড্রয়ার ভেঙে টাকা-পয়সা নিয়ে যায় বলে শুনেছি। এছাড়া ঘরে থাকা জিনিসপত্র এলোমেলো করে ফেলে। তারা যাওয়ার সময় বাড়িতে রাখা ৭-৮টি ভিনেগারের বোতল নিয়ে যায়।

স্টিফেন রোজারিও আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ পুলিশ আমাকে বিভিন্ন সময় মামলার ভয়ভীতি দেখায়। এই ভয়ে আমি পুলিশকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়ে থাকি। তারপরেও আজ আমার এতোবড়ো ক্ষতি করেছে পুলিশ।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান জানান, স্টিফেন রোজারিও খুব গরিব মানুষ এবং সে একজন সৎ ব্যবসায়ী। খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ। ঘটনাটি আমি শুনেছি, ঘটনাটি দুঃখজনক। প্রশাসনের এ কাজটি করা ঠিক হয়নি। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গহণ করা হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক ইনস্পেক্টর মাহমুদা ইয়াসমিন রুমার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি বর্নি গ্রামে স্টিফেন রোজারিওর বাড়িতে মাদকদ্রব্য অভিযানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করি। তবে তালা ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করলেও টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক সহকারী পরিচালক মো.আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। সেখান থেকে ২০ লিটার চুলাই মদ ও ২০০ লিটার মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম থানায় মাদকদ্রব্য আইনে স্টিফেন রোজারিওর রিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস জানান, থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে আসামি পলাতক রয়েছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টাইটানিকের সেই দরজা নিলামে যত টাকায় বিক্রি হলো
সর্বনিম্ন ১০০ টাকায় দেখা যাবে চট্টগ্রাম টেস্ট
জাল টাকা তৈরি চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩
নিজের ডেকে আনা পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশি তরুণের 
X
Fresh