চুয়াডাঙ্গায় আরও ১১ জন করোনায় আক্রান্ত
সাধারণ মানুষের উদাসীনতার কারণে চুয়াডাঙ্গায় দিন দিন বাড়ছে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও মাস্ক পরিধানের প্রবণতা কম থাকায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার শহর ও গ্রামাঞ্চলেও।
গেল ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে এক চিকিৎসকসহ ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬৯ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬৯ জন ও মারা গেছেন তিনজন। আজ বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে ৪১ জনের নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার চারজন, আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচজন ও দামুড়হুদা উপজেলায় দুই জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার করোনা আক্রান্ত একজন স্বাস্থ্য সহকারীর মা ও তার ছয় বছর বয়সের মেয়ে, ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পৌর এলাকার মালোপাড়ার আরা হালদার স্ত্রী ও বোন জামাই, কোটালি কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার এক নারী সদস্য, শহরের সিনিমো হল পাড়ার ঢাকাফেরত ৫৫ বছর বয়সের এক ব্যক্তি, আলমডাঙ্গা উপজেলার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের স্বামী ও স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল
তাদের সংস্পর্শে এসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন মেয়ে ও নাতি ছেলে, আলমডাঙ্গা শহরের মিয়াপাড়ার ৩৭ বছর বয়সের একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, হারদি গ্রামের ৬০ বছর বয়সের এবং গড়চাপড়া গ্রামের ৬৫ বছর বয়সের দুই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ও বাকিরা নিজ বাড়িতে আছেন। এছাড়া নতুন আক্রান্তসহ সদর হাসপাতাল আইসোলেশনে ও হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯৫ জন।
প্রসঙ্গত, গেল ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ইতালিফেরত এক যুবক। তার বাড়ি আলমডাঙ্গায়। জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৯ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬৯ জন ও মারা গেছেন তিনজন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে তিনজনকে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন। বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন