পুলিশের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ ১৭ মামলার আসামি ডাকাত সাদ্দামসহ নিহত ২
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে ১৭ মামালার পলাতক আসামি ও কুখ্যাত ডাকাতসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ভোরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বোনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে খালেরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হ্নীলা মৌলভী বাজার এলাকার মৃত সুলতান আহাম্মদের প্রকাশ চাম বাদশার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২২), হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার অলি আহাম্মদের ছেলে আব্দুল জলিল (৩২)। এ ঘটনায় হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমান, কনস্টেবল অভিজিৎ দাশ ও এমরান হোসেন নামে তিন পুলিশ আহত হয়েছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং ফাঁড়ি পুলিশ মৌলভীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭ মামলার পলাতক আসামি কুখ্যাত ডাকাত ও অপহরণকারী সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাদ্দামকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নাম ঠিকানা জানান। এক পর্যায়ে সাদ্দাম তার হেফাজতে থাকা ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলির কথা স্বীকার করে। পরে ভোরে টেকনাফ হোয়াইকং ইউনিয়নের কম্বোনিয়া বড়ছড়া হাসান মেম্বারের বাড়ির অনুমান ৩০০ গজ উত্তরে খালের পাড়ে পৌঁছলেই সাদ্দামের সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে এসআই মশিউর রহমান, কনস্টেবল অভিজিৎ দাস ও কনস্টেবল এমরান গুলিবিদ্ধ হন। এসময় পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে সাদ্দামও গুলিবিদ্ধ হয়। আশপাশের জনসাধারণের কাছ থেকে জিজ্ঞেসাবাদে গুলিবিদ্ধ একজনের পরিচয় জানা যায়।
পরে গুলিবিদ্ধ আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. প্রণয় রুদ্র উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে পৌঁছার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ২টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৩ রাউন্ড কার্তুজ, ১০ হাজার পিস ইয়াবা, নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন