• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সিরাজগঞ্জে প্রস্তুত আড়াই লাখ গবাদি পশু, ক্রেতা না পাওয়ার শঙ্কায় খামারিরা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৭ জুলাই ২০২০, ১২:৪৮
Two and a half lakh cattle are ready in Sirajganj, farmers are afraid of buyers
ছবি সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ জেলা দুধের জন্য প্রসিদ্ধ হলেও বর্তমানে গবাদি পশুর পাশাপাশি গো-খাদ্যের জন্য উত্তরাঞ্চলের মধ্যে বেশ গুরুত্ব বহন করছে।

এ জেলার গবাদি পশু ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতি বছরই বিক্রি হয়ে থাকে।

আসন্ন কুরবানি উপলক্ষে চলমান করোনার মধ্যেও শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি ও উল্লাপাড়ার মোহনপুরসহ সিরাজগঞ্জের নয়টি উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ দেশি গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে এবার করোনার কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি ‘রেডিফিড’গো-খাদ্য বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

করোনায় গবাদিপশু পরিবহন, ক্রেতা সমাগম ও দাম ঠিকমতো পাবেন কিনা এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলার খামারি ও বিক্রেতারা।

শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের চরগুধিবাড়ি গ্রামের খামারি হাজী গোলজার হোসেন জানান, আসন্ন কুরবানির ঈদের জন্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা খরচ করে তার খামারে আটটি ষাড় গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। চলমান করোনার মধ্যে এসব গরু কোথায় বিক্রি করবেন বা ক্রেতা পাবেন কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। তার প্রতিটি গরুর পেছনে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হচ্ছে।

এ গ্রামের খামারি বেলাল সরকার জানান, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে তিনটি গরু কুরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। কিন্তু চলমান করোনা সংকটের মধ্যে গরুগুলো বিক্রি করতে পারব কিনা এ নিয়ে শঙ্কায় আছি।

পোতাজিয়া ইউনিয়নের রেশমবাড়ি গ্রামের খামারি ও মিল্কভিটার পরিচালক আব্দুস সামাদ ফকির জানান, বর্তমান সময়ে বাঘাবাড়ি অঞ্চলে গো-খাদ্যের দামও বেশি। তারপরেও পাঁচটি ষাঁড় প্রস্তুত করছি। করোনার মধ্যে দাম ঠিকমতো পাব কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

উল্লাপাড়ার পশ্চিম পাড়ার গরু খামারি রিমন মণ্ডল জানান, প্রতি বছর ঢাকা ও চট্টগ্রামের পার্টিরা সরাসরি খামার থেকে গরু নিয়ে যেত। এ বছর ১০-১২টি গরু নেবার কথা জানিয়েছেন তারা। করোনার কারণে শেষ পর্যন্ত তারা আসবেন কিনা এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

পংরৌহা গ্রামের খামারি রেজাউল হোসেন জানান, করোনার মধ্যে অনেক অর্থ ব্যয় করে আটটি গরু প্রস্তুত করেছি। বাইরের পার্টি না পেলে স্থানীয় হাটে তুলতে হবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোরশেদ উদ্দিন আরটিভি নিউজকে বলেন, আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলায় ৩০ হাজারের অধিক গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। খামারিরা যেন পশু বিক্রি করে কাঙ্ক্ষিত লাভ করতে পারেন তার জন্য অ্যাপস তৈরির কাজ চলছে। অ্যাপসের মাধ্যমে গবাদি পশু বিক্রি করতে পারলে খামারিরা সব দিক দিয়েই লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আলহাজ ডা. মো. আখতারুজ্জামান ভুঁইয়া আরটিভি নিউজকে জানান, প্রতি বছরই আমরা খামারিদের যেমন হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেই। এবারও তা করা হয়েছে। চলমান করোনার জন্য খামারিদের উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার বিভিন্ন স্থানে গরু ও ছাগলের হাট পরিচালনার জন্য জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও প্রশাসনের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ আরটিভি নিউজকে বলেন, চলমান করোনায় কুরবানির আগে পশুর হাটে ঠিকমতো স্বাস্থ্যবিধি ক্রেতা-বিক্রেতারা কতটুকু মানবে তা নিয়ে আমরাও বেশ দুশ্চিন্তায় আছি। সেজন্য অনলাইনে গবাদি পশু বিক্রির বিষয়েই সকলকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ, নেই ভোগান্তি
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ 
অন্তরঙ্গ সম্পর্কের পর পালিয়েছেন প্রেমিক, অতঃপর....
আবাসিক হোটেলে থেকে বাসাবাড়িতে চুরি করেন তারা
X
Fresh