বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি
মুন্সীগঞ্জের ঘরে ঘরে শোকের ছায়া
রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে ‘মর্নিংবার্ড-২’ যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির উদ্ধার হওয়া মরদেহের ৩০ জনই মুন্সীগঞ্জ জেলার বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সোমবার রাত ১০ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
এর মধ্যে সদর উপজেলার ১৯ জন, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় নয়জন, সিরাজদিখানে একজন ও শ্রীনগরের একজন রয়েছেন। নিহতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে মরদেহ দাফন কাজের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ১৭ টি পরিবারকে ঢাকা থেকে ও বাকি পরিবারকে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
নিহতের পরিবাররা স্বজনের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলার নিজ বাড়িতে আনা হয়।
গতকাল রাতের মধ্যেই স্বজনরা নিহতের মরদেহ দাফন করেন বলেও তিনি জানান।
এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারগুলিতে শোকের মাতম চলছে। আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। করোনার এই সময়ে এমন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় স্বজনদের আহাজারিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার ফরাশগঞ্জ-শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে মৈয়ূরী-২ লঞ্চের ধাক্কায় ‘মর্নিংবার্ড-২’ লঞ্চটি ডুবে যায়। বেঁচে উঠা যাত্রীদের কথানুযায়ী প্রায় শতাধিক যাত্রী ছিল লঞ্চটিতে। এর মধ্যে অনেকে সাঁতার কেটে ও চ্রলারের সহায়তায় তীরে উঠতে স্বক্ষম হয়। এর আগে সোমবার সকাল পৌনে আটটার দিকে মুন্সীগঞ্জ-কাটপট্টি নৌরুটের কাটপট্টি ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় লঞ্চটি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ড উদ্ধার কাজ চালায়। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরো পড়ুন: লঞ্চের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জেবি
মন্তব্য করুন