যমুনায় বাড়ছে পানি, সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
যমুনায় দ্রুত গতিতে পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার দুপুরে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। অন্যদিকে কাজিপুর পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাঐতারা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মাটির তৈরি সড়ক ভেঙে পানি ঢুকছে। এতে আশপাশের ৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
অন্যদিকে কাজিপুরে শুভগাছা পাকা সড়ক তলিয়ে গেছে। এর ফলে আশপাশের এলাকার বাড়িঘরে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে শতাধিক বাড়িঘর ডুবে গেছে। এ অঞ্চলের ২ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
রোববার সন্ধ্যার দিকে শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদের দেড় কিলোমিটার এ সড়কটি তলিয়ে যায়। এতে রতনকান্দি থেকে শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
শুভগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান জানান, রতনকান্দি হাটখোলা থেকে শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের ২ হাজার মানুষ।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, যমুনার পানি উপচে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বপাশে শুভগাছা-রতনকান্দি হাটখোলা পাকা সড়ক ডুবে গেছে। এ ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষের জন্য ২৩ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে এসব চাল বিতরণ করা হবে।
এদিকে বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের দরিদ্র অসহায় মানুষেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা সহায়সম্বল, গরু-ছাগল, হাস-মুরগী নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে ঘরের খাট- চৌকি দিয়ে মাচা বানিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে গাদাগাদি করে মানবেতর জীবন যাপন করছে। জ্বালানি, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে বানভাসি পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরও তিনদিন পানি বাড়তে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন