গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের বর্ষণে গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
আজ রোববার (২৮ জুন) সকাল ৬টায় গাইবান্ধায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদী বেষ্টিত ১৬টি ইউনিয়নের ২৫৫টি চরের অধিকাংশ বাড়িঘর হাঁটু থেকে কোমর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। ফলে এসব এলাকার ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর-বালাসীঘাটের কাছে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা এলাকা দিয়ে পানি ঢুকে সাঁতারকান্দির চর ও ভাষারপাড়া এলাকা আকস্মিক বন্যায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে বেড়ি বাঁধে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। গাইবান্ধা বালাসীঘাট সড়কের নতুন বেড়ী বাঁধের পূর্ব অংশ থেকে বালাসীঘাট পর্যন্ত সড়কটি হাঁটু থেকে কোমর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির একতলা ডুবে যায়। বিদ্যালয়ের দোতলা ও ছাদে আশ্রয় নিয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ জানান, যারা পানিবন্দি আছে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এছাড়া পানিবন্দিদের সর্বাত্মক সাহায্যের চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন
এসএস
মন্তব্য করুন