পঞ্চগড়ে মরিচের বাম্পার ফলন, বৃষ্টির কারণে লোকসানের শঙ্কা
দেশের সর্বউত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের ৫ উপজেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে টানা বৃষ্টির কারণে মরিচ শুকাতে পারছেন না চাষিরা। এতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে সারাদিন বৃষ্টির কারণে চাষিরা তাদের পাকা মরিচ শুকাতে পারছেন না। এছাড়াও অনেক চাষির মরিচ বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। ফলে ভেজা মরিচ নিয়েও বিপাকে পড়েছেন অনেক চাষি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এবার পঞ্চগড়ের ৫ উপজেলায় ১০ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়। ফলন ধরার শুরুতে কিছু কিছু ক্ষেতে মরিচের পচা রোগের আক্রমণ দেখা দেয়। তবে সে ধাক্কা সামলে উঠে মরিচের বাম্পার ফলনের মুখ দেখে চাষিরা।
এবার জেলায় মোট ৩২ হাজার ৮৩৬ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদন হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন মরিচ বেশি।
তবে, কদিন ধরেই আকাশ ক্ষণে ক্ষণে মেঘলা। এই বৃষ্টি, এই রোদ। মেঘ আর রোদের এই লুকোচুরি যেন থামছেই না। এ কারণে ক্ষেত থেকে মরিচ তোলার পর তা রোদে শুকাতে পারছেন না চাষিরা। এতে মরিচ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দাম ভালো থাকলেও রোদের অভাবে শুকনা মরিচ বাজারজাত করা যাচ্ছে না।
মরিচ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর মরিচের দাম বেশি। এবার প্রতি মণ মরিচ ৪ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া এলাকার বশির আলম বলেন, ‘গত বছর দাম ভালো পাওয়ায় এবার বেশি করে মরিচ চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু ক্ষেত থেকে মরিচ তোলার পর বৃষ্টির কারণে শুকাতে পারছি না। যদি সময় মতো বাজারজাত করতে না পারি তাহলে ন্যায্য দাম পাব না।’
একই কথা জানান জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি এলাকার হবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাজারে মরিচের দাম ভালো। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মরিচ শুকাতে পারছি না। রোদ দেখে মরিচ শুকাতে দিতে না দিতেই বৃষ্টিতে তা ভিজে যায়।’
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হানিফ জানান, এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে চাষিরা মরিচ শুকাতে পারছে না। তবে বাজারে মরিচের দাম ভালো রয়েছে।
এজে
মন্তব্য করুন