ভোলায় নিখোঁজ কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় ওষুধ ব্যবসায়ী হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই বোরহানউদ্দিনে হত্যা করা হলো এক কলেজছাত্রকে। নিখোঁজ কলেজ ছাত্র সুমনের মরদেহ গতকাল সোমবার মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নে একটি পানের বরজ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমন ওই এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি সরকারি আব্দুর জব্বার কলেজের স্নাতক বর্ষের ছাত্র। শনিবার রাতে নিখোঁজ হয় সমুন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ মিঠু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ওই যুবকের তথ্যে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানান, ২০ জুন শনিবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া অবস্থায় একটি ফোন পেয়ে বেড় হয়ে যায় সুমন। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। রোববার পরিবারের পক্ষ থেকে বোরহানউদ্দিন থানায় সুমন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় একটি জিডি করা হয়।
কল লিস্ট চেক করে মোবাইল ট্র্যাকিং করে মিঠু নামে এক যুবককে সোমবার দুপুর আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়া ইউনিয়নের একটি পানের বরজের ভেতর মাটি খুঁড়ে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওসি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে নিহত সুমনকে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।
মিঠু ও সুমন একসঙ্গে নেশা করছিলো। মিঠু একাই নিহত সুমনকে মাটি চাপা দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তবে কি কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার কারণ উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
শনিবার রাতে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বটতলায় প্রবীর নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে হত্যা করে তার সঙ্গে থাকা পাঁচ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করে সন্ত্রাসীরা। এর জের না কাটতে ফের বোরহানউদ্দিনে যুবক হত্যা নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনার ঝড় ওঠে।
লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন