• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

খানাখন্দে ভরা হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক

মো. আব্দুল আজিজ, হিলি প্রতিনিধি

  ২২ জুন ২০২০, ১৪:৪১
main road Hili land port full ditches
হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কের বেহালদশা। ছবি: আরটিভি অনলাইন

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। এ বন্দরের মাধ্যমে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার। কিন্তু বন্দরের প্রধান সড়কের বেহালদশা। সড়কটিতে খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় যানবাহনসহ এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ৪০ থেকে ৪২ টন পণ্য নিয়ে ট্রাকগুলো এই রাস্তা দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। যার কারণে সহজেই সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

হিলি চারমাথা পোর্ট থেকে দক্ষিণে রাজধানী মোড় প্রধান সড়ক দিয়ে কোচ, বাসসহ ভারি ওজনের পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জয়পুরহাট, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রামে যাতায়াত করে। ১০ চাকা বিশিষ্ট ট্রাকগুলো ৪০ থেকে ৪২ টন পাথর নিয়ে এই সড়কে চলাচল করে।

অন্যদিকে, পণ্যবাহী ট্রাকসহ যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করছে। ছোট ও ধারণ ক্ষমতা কম এই রাস্তার। যার জন্য ভারি ওজনের যানবাহনের কারণে সহজেই সড়কটি ভেঙে পড়ছে। চারমাথা থেকে রাজধানী মোড়ের রাস্তাটির বেহালদশা। বেশ কয়েকটি স্থান ভেঙে খাদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভয়-ভীতি নিয়ে চলাফেরা করছে সব ধরনের যানবাহন সহ পথচারীরা।

কথা হয় কয়েকজন বাস যাত্রী এবং যাত্রীবাহী বিআরটিসি গাড়ি চালকের সঙ্গে। তারা জানান, দিনাজপুর থেকে বগুড়ায় এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করি। যাত্রী নিয়ে এই রাস্তায় চলাফেরা বিপদজনক মনে হয়। বেশ কয়েকটি জায়গায় বড় আকারের গর্ত রয়েছে, সেখানে পার হতে যাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হচ্ছে।

কয়েকজন পাথর বোঝায় ট্রাক চালকের সঙ্গে কথা হয় তারা জানান, রাস্তার যে অবস্থা, কখন কি হয়, ভাঙা-চুড়া সড়ক দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে ভয় লাগে। বিকল্প কোনো ভাল রাস্তা নেই বিধায় এই রাস্তা দিয়েই চলতে হচ্ছে।
একজন ভ্যান চালক জানান, এতোই রাস্তা খারাপ, ভয়ে হিলির চুড়ি পট্টির ছোট রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এই রাস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়ে গেলে যাত্রীদের খুব কষ্ট হয়।

কয়েকজন পথচারী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এই রাস্তা এখন আর চলাফেরা করার মতো উপযোগী নই। রাস্তার পাশে আমার বাড়ি। বাড়ি থেকে বের হয়ে এই সড়ক দিয়ে যেতে পারছি না। খানাখন্দে ভরে গেছে। তাই বিকল্প পথ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাকিমপুর (হিলি) পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, হিলির প্রধান সড়কগুলো মূলত দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের। এযাবৎ অনেক বার কর্তৃপক্ষের নিকট এই সড়কের বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে। আবারও দিনাজপুর জেলার উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে মাসিক আলোচনা সভায় হিলির সড়কের বেহাল অবস্থা ইঞ্জিনিয়ারের নিকট তুলে ধরবো।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন জানান, দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের হিলির এই রাস্তা। ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তবে আজ বন্দরের যে সব রাস্তা খানাখন্দে ভরে গেছে সেগুলো ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করে তুলবো।

তিনি আরও জানান, জয়পুরহাট থেকে হিলি সিপি পর্যন্ত সড়কের যে কাজ শুরু হয়েছিলো তা করোনার কারণে বন্ধ ছিলো। আমি ইঞ্জিনিয়ারে সঙ্গে কথা বলেছি, খুব তাড়াতাড়ি এই রাস্তার নির্মাণের কাজ শুরু করবেন তারা।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ত্রিশালে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
পিকআপ-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বিএনপি নেতার
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
X
Fresh