নদীর দু’পাশে ব্রিজের কাঠামো, মাঝখানে ফাঁকা
টাঙ্গাইলের গোপালপুল উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ঝিনাই নদী। দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ২০০৪ সালে নদীর ওপর নির্মাণ করা হয় একটি ব্রিজ।
কিন্তু ২০১৪ সালে হঠাৎ ব্রিজটির মাঝের অংশ ধ্বসে পড়ে। এতে দুই গ্রামের মানুষের একমাত্র যোগাযোগের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এই দীর্ঘ সময়ে ব্রিজটি মেরামত না করায় ওই দুই এলাকার মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোপালপুল উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামের ঝিনাই নদীর দু’পাশে ব্রিজটির কিছু অংশ রয়েছে। শুধু মাঝখানের অংশ ভেঙে ব্রিজটির দু’পাশের অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে নদীর এক পাড় হতে আরেক পাড়ে যাওয়ার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা যায়, নদীর পশ্চিম পাড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পূর্ব পাড়ে উচ্চবিদ্যালয় ও বাজার রয়েছে। এই ব্রিজটি ব্যবহার করে গোপালপুল উপজেলার ঝাওয়াইল ও হাদিরা ইউনিয়নের সাত গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু ২০১৪ সালে ব্রিজটির মাঝের অংশ ভেঙে গেলেও দীর্ঘ ছয় বছরেও সেটি পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। এতে সাত গ্রামের মানুষেরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, ব্রিজটি দিয়ে সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নিয়মিত পণ্য পরিবহণ ও যাতায়াত করতেন। কিন্তু সেটি ভেঙে যাবার পর এখন খেয়া নৌকাই একমাত্র ভরসা। তিনি দাবি করেন যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের।
এ বিষয়ে ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শরীফ হোসেন জানান, এলজিইডি দ্রুত সংস্কার না করায় ২০১৫ সালের মে মাসে মাঝখানের গার্ডারসহ সেতুটির ৫৪ ফিট নদীতে ভেঙ্গে পড়ে। তখন থেকেই ব্রিজটি বন্ধ রয়েছে।
ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখানো হয়েছে। এলজিইডি কারিগরি জরিপ করে গেছেন। কিন্তু ব্রিজ পুনর্নির্মাণের কোনো লক্ষণ নেই।
আর এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ হোসেন জানান, এলজিইডির ‘টাঙ্গাইল প্রকল্প’-এর আওতায় আরসিসি গার্ডার ব্রিজ করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে কাজ করা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের আগস্টে মাটি সরে গিয়ে সেতুটি মাঝখানের দু’টি পিলার আলগা হয়ে যায়। তখন বিপজ্জনক সেতুটির উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এখনো সেটি ঠিক করা হয়নি।
এজে
মন্তব্য করুন