• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কুড়িগ্রামের অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

  ১৯ জুন ২০২০, ১৯:০৩
কুড়িগ্রামের অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু

কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিদিন অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক গরু। রোগটি সব উপজেলাতে ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় চিন্তিত খামারিরা। গত তিন সপ্তাহে বেশ কিছু গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারাও গেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। মশা মাছি থেকে ছড়ানো এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অধিকাংশ গরু। তবে এ ব্যাপারে রোগাক্রান্ত গরুকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ভাইরাসজনিত রোগ ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ (এলএসডি) এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ রোগের নিদিষ্ট কোনও প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় দ্রুত এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি গরু মারাও গেছে।

উলিপুরের রামদাস ধনিরাম গ্রামের কৃষক রোস্তম আলী জানান, তার একটি গাভী ও ৩টি বকনা বাছুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে একটি বাছুর মারাও গেছে। আক্রান্ত গরুগুলো নিয়ে তিনি চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এছাড়াও উপজেলার তেতুলতলা গ্রামের নুর ইসলামের একটি গাভী, কালিরপাঠ গ্রামের জগদীশ চন্দ্র বর্মনের একটি গাভী, হোকডাঙ্গা গ্রামের ফজলুল হকের একটি ষাঁড় ও নতুন অনন্তপুর গ্রামের সাজু মিয়ার একটি গাভী ও একটি বাছুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

জানা যায়, মশা ও মাছির মাধ্যমে ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজ আক্রান্ত গরুর শরীর প্রথমে ফুলে গুটি-গুটি হয়। কয়েকদিন পর গুটিগুলো ফেটে রস ঝড়তে থাকে। ফলে ফেটে যাওয়া স্থানেই ক্ষত সৃষ্টি হয়ে গরুর শরীরে প্রচণ্ড জ্বর হয় এবং গরুর খাবার রুচি কমে যায়। এ ধরনের অসুখে গরু মারাও যাচ্ছে। এ রোগে আক্রান্তের খবর প্রাণিসম্পদ বিভাগে না পাওয়ায় সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে।

সদরের বকসি পাড়ার খামারি মোস্তাফিজার জানান, তার খামারে ৭টি গরু এ রোগে আক্রান্ত। তার মধ্যে চারটি সুস্থ হলেও ৩টির অবস্থা এখনও খারাপ। তিনি ভেটেরিনারি সার্জনদের দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিদিনই গড়ে তিন থেকে পাঁচটি আক্রান্ত গরু চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসছেন কৃষকরা। এ রোগে আক্রান্ত গবাদি পশুর মৃত্যুহার কম হলেও এর সুনির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা এখনও পাওয়া যায়নি। তবে এ রোগে লক্ষণ দেখে পেনিসিলিন, এন্টি হিস্টামিন, আইভার মেকটিন জাতীয় মেডিসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই সরকার জানান, কৃষকদের এ নিয়ে চিন্তিত না হয়ে গরুর পরিচর্যাসহ প্রাণিসম্পদ বিভাগকে জানাতে বলেন। এছাড়া এ রোগে গরুর মৃত্যুহার কম বলেও চিন্তিত না হয়ে পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বড় খামারিদের কারসাজিতে ৫০০-তে নামছে না গরুর মাংস 
পান খেয়ে ১৮ লাখ টাকা খোয়ালেন গরু ব্যবসায়ী
ফের ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবেন খলিল
৫০০ টাকায় মাংস বিক্রি করতে চান খলিল, বর্ডার খুলে দেওয়ার দাবি
X
Fresh